এবার নেপাল সীমান্তের পানিঘাটায় উদ্ধার হল সন্দেহজনক তেজস্ক্রিয় পদার্থ বা রেডিওঅ্যাক্টিভ মেটিরিয়াল। মঙ্গলবার রাতে সেনাবাহিনীর সঙ্গে যৌথ অভিযান চালিয়ে সেগুলি উদ্ধার করেছে দার্জিলিং জেলা পুলিস। এক ফরেস্ট ভলান্টিয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতের নাম ফ্রান্সিস এক্কা। তার স্ত্রী নকশালবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ। শুধু তাই নয়, ধৃতের কাছ থেকে ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (ডিআরডিও) নথিও বাজেয়াপ্ত হয়েছে। দার্জিলিংয়ের পুলিস সুপার প্রবীণ প্রকাশ বলেন, এক ব্যক্তি তেজস্ক্রিয় পদার্থ কাউকে বিক্রি করবে বলে খবর আসে। সেই মতো তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়। সন্দেহজনক ওই উপকরণ উদ্ধার করা হয়। সেনাবাহিনীর গোয়ান্দা বিভাগের দেওয়া খবরের ভিত্তিতে ওই রাতে পানিঘাটার গিরমিট লাইনে অভিযান চালায় মিরিক থানার পুলিস। তাদের সঙ্গে ছিল এনডিআরএফ। অভিযুক্তের বাড়ি ঘিরে দীর্ঘক্ষণ ধরে তারা তল্লাশি অভিযান চালায়। পুলিস সূত্রের খবর, ওই বাড়ি থেকে ডিআরডিও লেখা একটি বক্স উদ্ধার হয়েছে। তাতে বেশেকিছু তেজস্ক্রিয় উপকরণ এবং সেনাবাহিনীর কিছু নথিও উদ্ধার করা হয়। সেনাবাহিনী সূত্রের খবর, বেশকিছু দিন আগেই বনদপ্তরের ওই ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর সামগ্রী পাচারের অভিযোগ উঠেছিল। এরপর বিষয়টি পুলিসের কাছে জানানো হয়। পুলিস সেখান থেকে কিছু তেজস্ক্রিয় উপকরণ উদ্ধার করেছে। সেগুলি সতেজ রয়েছে নাকি নিষ্ক্রিয় হয়ে গিয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বুধবার ধৃতকে মিরিক সিজেএম আদালতে তোলা হয়। জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়ে ধৃতকে পাঁচদিনের জন্য পুলিস হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তাকে পুলিসের পাশাপাশি সেনাবাহিনী সহ বিভিন্ন এজেন্সি জেরা করবে বলেই খবর। এদিকে, ধৃতের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া সামগ্রী ‘নকল’ বলেই পুলিসের প্রাথমিক অনুমান। এদিন এনডিআরএফের সহযোগিতায় উদ্ধার হওয়া সামগ্রী পরীক্ষা করা হয়। পুলিস সূত্রের খবর, ওই পরীক্ষা রিপোর্ট অনুসারে উদ্ধার হওয়া উপকরণ নকল বলেই মনে হচ্ছে। তবে পদার্থটি আসল নাকি নকল, তা নিশ্চিত করতে দ্বিতীয় দফায় পরীক্ষা করা হবে বলে পুলিস সূত্রের দাবি।