কিশোরীর অশ্লীল ভিডিয়ো তুলে ব্ল্যাকমেল করে একমাস ধরে লাগাতার গণধর্ষণের অভিযোগ ৷ ঘটনায় গ্রেফতার ১৫ বছরের নাবালিকার জামাইবাবু ও তাঁর বন্ধু ৷ নির্যাতিতার মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতে দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে বহরমপুর থানার পুলিশ । ধৃতদের বিরুদ্ধে পকসো ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে । এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেড কোয়ার্টার) মাজিদ ইকবাল বলেন, “গণধর্ষণের অভিযোগে দু’জনকে মঙ্গলবার রাতেই গ্রেফতার করা হয়েছে । পুলিশ হেফাজতে নিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে । ইতিমধ্যে কিছু তথ্য প্রমাণও হাতে এসেছে ।” বহরমপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত দুই যুবকের নাম সুরজিৎ হালদার ও অর্ক দত্ত । সুরজিৎ ও অর্ক দু’জনেরই বাড়ি বহরমপুর থানা এলাকায় ৷ কিশোরীর মা অভিযোগপত্রে জানান, গোপনে মেয়ের অশ্লীল ভিডিয়ো ও ছবি তুলে ব্ল্যাকমেলিং শুরু করে জামাই সুরজিৎ হালদার । পরে তার সঙ্গে যোগ দেয় বন্ধু অর্ক দত্ত । এরপর এক মাস ধরে চলে যৌন নির্যাতন ও একাধিকবার ধর্ষণ । এর মাঝে কিশোরীর আরও কিছু অন্তরঙ্গ গোপন ভিডিয়ো তোলে দু’জনে । সেই ভিডিয়োও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে দুই অভিযুক্ত কিশোরীকে আবারও ব্ল্যাকমেল করতে শুরু করে বলে অভিযোগ । কিশোরীর মায়ের অভিযোগ, তাঁর মেয়েকে কার্যত একাধিকবার সহবাসে বাধ্য করা হয় । সামাজিক সম্মানহানির ভয়ে কিশোরী নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে সহবাসে বাধ্য হয় । একমাস পর আর সহ্য করতে না-পেরে অবশেষে মায়ের কাছে সমস্ত কথা খুলে বলে ওই কিশোরী । এরপরই নির্যাতিতার মা বহরমপুর থানার পুলিশের দ্বারস্থ হয় । সুরজিৎ হালদার ও অর্ক দত্তের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ এবং যৌন নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেন তিনি । লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্তে নেমে মঙ্গলবার রাতে দু’জনকে গ্রেফতার করে বহরমপুর থানার পুলিশ । দু’জনের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয় । ধৃতদের মোবাইল ফোন থেকেই নির্যাতিতার একাধিক অশ্লীল ভিডিয়ো ও স্টিল ছবি উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ । পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানতে পারা গিয়েছে, কিশোরীকে ভয় দেখিয়ে একাধিক জায়গায় ডেকে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয়েছে । দু’জনকে হেফাজতে নিয়ে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে চায় পুলিশ । বুধবার ধৃতদের সাতদিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানিয়ে বহরমপুর জেলা আদালতে পেশ করা হবে ।
