দেবীপক্ষের প্রাক্কালে ফের কলকাতার রাজপথে প্রতিবাদ মিছিল। আরজিকর কাণ্ডের বিচারের দাবিতে ফের পথে নাগরিক সমাজ। একাধিক সংগঠনের ডাকে প্রতিবাদ মিছিলের সাক্ষী থাকল কলকাতা। তাৎপর্যপূর্ণভাবে বহু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকেও দেখা গেল এই মিছিলে। মহালয়ার আগে নতুন করে পূর্ণ কর্মবিরতি শুরু করেছে রাজ্যের ২৩টি মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র ডাক্তারদের মিলিত মঞ্চ। সরকারের কাছে ১০ দফা দাবি তুলে ধরেছেন তাঁরা। যতদিন না সরকার তাঁদের দাবি মানছে ততদিন কর্মবিরতি চলবে। এদিকে মঙ্গলবার জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরর্স-সহ ৬০টির বেশি সংগঠনের ডাকে কলেজ স্কোয়্যার থেকে রবীন্দ্রসদন পর্যন্ত সাড়ে ৪ কিলোমিটারেরও বেশি রাস্তার মহামিছিল করা হয়। রাতে রাস্তায় নামে নাগরিক সমাজও। দাবি একটাই, আর যেন কোনও অভয়া না হয়। ডাক্তারদের মিছিলের সঙ্গে রয়েছে মেয়েদের রাত দখলের ডাক দেওয়া মহিলা সংগঠন। যদিও নাগরিক সমাজের নামে এই মিছিলে পুরোদস্তুর রাজনীতির ছোঁয়াও লেগে গিয়েছে। মিছিলে হাঁটতে দেখা গিয়েছে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রদের। হাঁটতে দেখা গিয়েছে আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকেও। যা নিয়ে আবার খোঁচা দিয়েছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তাঁর অভিযোগ, এই সবটাই পরিকল্পিতভাবে পুজো অর্থনীতি নষ্ট করার চেষ্টা। সোশাল মিডিয়ায় তিনি লিখলেন, “ডাক্তার, নাগরিক সমাজের নামে মিছিলে সিপিএম, কংগ্রেস, আইএসএফ। ন্যায়বিচার নয়, তার আড়ালে এদের উদ্দেশ্য পুজো অর্থনীতি নষ্ট করা। মিছিলে কমরেড সেলিম, সূর্যকান্ত মিশ্র, নওশাদ সিদ্দিকিরা।” কুণালের প্রশ্ন, “নিরপেক্ষ বলে আর কত আড়াল করা হবে, আবেগ বিভ্রান্ত করে কিছু অতৃপ্ত আত্মার অরাজকতামূলক প্রচার?”