দেশ

RBI অফিসার সেজে এটিএম ভ্যান থেকে ৭ কোটি ১১ লক্ষ টাকা লুট

রিজার্ভ ব্যাঙ্কের আধিকারিক সেজে এটিএম কোটি ১১ লক্ষ টাকা লুট দুষ্কৃতীদের ৷ উড়ালপুলের উপর দিয়ে দ্রুত গতিতে যাওয়া ক্যাশ ভ্যানটিকে আটকায় দু’টি গাড়ি । গাড়ি গুলি থেকে নেমে আসে ছ’জন ৷ নিজেদের আরবিআই অফিসার পরিচয় দিয়ে ক্যাশ ভ্যান থেকে ৭ কোটি ১১ লক্ষ টাকা নিয়ে পালায় ৷ এই ঘটনায় পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে ৷ শীঘ্রই অপরাধীরা ধরা পড়বে বলে বৃহস্পতিবার জানান কর্ণাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জি পরমেশ্বর ৷ জানা গিয়েছে, বুধবার দুপুরে দক্ষিণ বেঙ্গালুরুতে ব্যস্ত সময়ে একটি এটিএম ক্যাশ ভ্যান আটক করে ৬ জনের একটি দল৷ তারা আরবিআইয়ের অফিসার বলে গাড়িটিকে দাঁড় করায় দুষ্কৃতীরা ৷ চালক ছাড়া ক্যাশ ভ্যানে ছিলেন তিন কর্মী । ‘আরবিআই কর্তা’র পরিচয় দিয়ে দুষ্কৃতীরা জানায়, আরবিআইয়ের নির্দেশিকা লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে তাঁদের সংস্থার বিরুদ্ধে । জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাই কর্মীদের যেতে হবে থানায় । দুষ্কৃতীদের কথা বিশ্বাস করে নেন ওই ক্যাশ ভ্যানে থাকা কর্মীর । তাঁদের নিয়ে একটি গাড়িতে ওঠে দুই দুষ্কৃতী । বাকিদের মধ্যে দু’জন উঠে পড়ে ক্যাশ ভ্যানে ৷ বাকিরা ছিল মারুতিতে । তার পরেই তিনটি গাড়ি রওনা দেয় থানার উদ্দেশে । কিছুটা যাওয়ার পর গাড়ি দু’টি আলাদা রাস্তা ধরে । মারুতির পিছন পিছন চলে যায় ক্যাশ ভ্যানটি । আর অন্য গাড়িতে ছিলেন ক্যাশ ভ্যানের তিন কর্মী । রাস্তার মধ্যে নামিয়ে দেওয়া হয় ক্যাশ ভ্যানের চালককে । তত ক্ষণে অন্য গাড়িটিও চলে আসে মারুতি ভ্যানের কাছে । তার পরে বন্দুক দেখিয়ে চালককে নির্দেশ দেওয়া হয় ভ্যানে থাকা ক্যাশবাক্সগুলি মারুতি এবং অন্য গাড়িতে তুলে দেওয়ার জন্য । তার পরে চালককে রাস্তার মাঝে ফেলে টাকা নিয়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা ।পুলিশ সূত্রে খবর, এটি সাম্প্রতিক সময়ে বেঙ্গালুরু শহরে অন্যতম বড় ডাকাতির ঘটনা ৷ রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “শহরজুড়ে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ যাচাই করা হচ্ছে ৷ অপরাধীরা কর্ণাটক ছেড়ে অন্য রাজ্যে পালিয়ে গিয়েছে কি না, তা নিশ্চিত করার জন্য যাবতীয় প্রযুক্তিরও ব্যবহার করা হচ্ছে ।” তিনি আরও বলেন, “ডাকাতের দলটি কর্ণাটকের হোক বা বাইরের হোক এবং ডাকাতিতে ব্যবহৃত গাড়ি সম্পর্কে যাবতীয় তথ্যসংগ্রহ করেছে পুলি শ। একটি গাড়ির ছবি পাওয়া গিয়েছে ৷ তদন্ত করার সময় দেখা গিয়েছে যে, একটি বাড়িতে পার্ক করা ছিল গাড়িটি ৷ সুতরাং এটা স্পষ্ট অন্য কোনও গাড়ির নম্বর প্লেট ব্যবহার করেছিল ৷” সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “কোন গাড়িতে তারা টাকা নিয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়, কারণ তারা গাড়ি পরিবর্তন করেছে বারবার ৷ টাকাও সেই গাড়িগুলিতে স্থানান্তর করা হয়েছে ৷ আমাদের কাছে সেই গাড়ি সম্পর্কে কিছু তথ্য আছে, তবে এটা পুরোপুরি এখনও স্পষ্ট নয় । আমরা যাচাই করছি যে গাড়িটি রাজ্যের বাইরে গেছে কি না ।” স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “বিজয়পুরায় এই জাতীয় দু’টি ঘটনা ঘটেছিল ৷ সেখানে প্রায় 58 কোটি টাকা এবং গয়না লুট করা হয়েছিল ৷ অপরাধীদের ধরাও হয়েছিল। একইভাবে এখানেও অপরাধীদের ধরার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে ৷ আমরা অবশ্যই তাদের ধরব ৷”