রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন শুক্রবার জানিয়েছেন, ভারতের সঙ্গে 2030 সাল পর্যন্ত দীর্ঘমেয়াদী সহযোগিতার জন্য মস্কোর কর্মপরিকল্পনা শীঘ্রই চূড়ান্ত করা উচিত ৷ সেন্ট পিটার্সবার্গ আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ফোরামের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে ভাষণ দিতে গিয়ে পুতিন ঘোষণা করেন, মস্কো তার মূল অংশীদারদের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী অর্থনৈতিক সহযোগিতা পরিকল্পনা এগিয়ে নিচ্ছে, যার মধ্যে ভারতও রয়েছে। তিনি বলেন, “আমি মনে করিয়ে দিতে চাই যে, আমরা মূল অংশীদারদের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী সহযোগিতা পরিকল্পনা প্রস্তুত করতে সম্মত হয়েছি ৷” পুতিন জোর দিয়ে এও বলেন, “ভারতের মতো দেশগুলির সঙ্গে কর্মপরিকল্পনা শীঘ্রই সম্পন্ন করা উচিত। আমরা ইতিমধ্যে তেল ও গ্যাস রফতানি বৃদ্ধির লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি। এটি অর্জনের জন্য, আমরা অংশীদারদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলব, বাণিজ্য বাধা অতিক্রম করে নতুন বাজার অনুসন্ধান করব ৷ পরিকাঠামো তৈরি করে বিনিয়োগে সহযোগিতা আরও নিবির করব ৷” এই বছর সেন্ট পিটার্সবার্গ আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ফোরাম (SPIEF) 2025-এর মূল বিষয় ছিল “শেয়ারড ভ্যালুস: দ্য ফাউন্ডেশন অফ গ্রোথ ইন এ মাল্টিপোলার ওয়ার্ল্ড”। পুতিন বলেন, “একটি নতুন বিশ্বব্যবস্থা স্বাভাবিকভাবেই সূর্যের মতো উদীয়মান হচ্ছে। এটি থামানোর কোনও উপায় নেই ৷ আমাদের ভূমিকা হল এই প্রক্রিয়াটিকে আনুষ্ঠানিকবাবে প্রতিপন্ন করা এবং এটিকে সহজ করে তোলা ৷ এটি নিশ্চিত করতে হবে যে, এটি আরও ভারসাম্যপূর্ণভাবে বিকশিত হয় যা বিশাল সংখ্যাগরিষ্ঠ জাতির স্বার্থের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ৷” SPIEF-এ ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন কেন্দ্রীয় রেলওয়ে, তথ্য ও সম্প্রচার এবং ইলেকট্রনিক্স ও আইটি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। রেলমন্ত্রী বৈষ্ণব দুটি গুরুত্বপূর্ণ অধিবেশনে মূল বক্তব্য রাখেন। ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভবিষ্যৎ’ অধিবেশনে বক্তৃতা দেওয়ার সময়, তিনি AI-তে ভারতের অগ্রগতি এবং নৈতিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রযুক্তিগত বিকাশের জন্য এর দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন। ভারত-রাশিয়া ব্যবসায়িক ফোরামে ভাষণ দেওয়ার সময়, তিনি দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক গভীরতর করা এবং সহযোগিতার নতুন পথ খোঁজার উপর জোর দিয়েছেন। বৈষ্ণব রাশিয়ার ফেডারেল মন্ত্রী, শীর্ষস্থানীয় শিল্পপতি, প্রযুক্তি নেতা এবং বিনিয়োগকারীদের সাথে বেশ কয়েকটি বৈঠকও করেছেন। এই আলোচনাগুলি লজিস্টিকস ও পরিবহণ, পরিকাঠামো উন্নয়ন, রেলওয়ে আধুনিকীকরণ, তথ্য প্রযুক্তি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সহ গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলিতে ভারত-রাশিয়া সহযোগিতা বৃদ্ধির উপর আলোকপাত করে।
