কলকাতা

বন্যা বিধ্বস্ত সিকিম নিয়ে উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী, দুর্যোগ মোকাবিলায় পাঠালেন মন্ত্রী-আমলাদের

সিকিমে আচমকাই মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে বাঁধে জল ভরে যায়। প্রবল চাপে সেই জল বইতে শুরু করে তিস্তায়। বেড়ে যায় তিস্তার জলস্তর। অবস্থা এমনই হয়, নদীর পাশে থাকা একটি সেনাছাউনিতে জলের ধাক্কায় ভেসে যান ২৩ জন সেনা। সড়ক ও যোগাযোগ ব্যবস্থাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা যায়। সমস্যায় পড়েছেন বাসিন্দারা। তিস্তা যেহেতু নেমে এসেছে উত্তরবঙ্গে তাই তার জলে ক্ষতি হতে পারে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন অঞ্চল। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি নির্দেশ দিয়েছেন পরিস্থিতির ওপর নজর রেখে চলতে। একইসঙ্গে বিপর্যয় হলে যেন দ্রুত তা মোকাবিলা করা যায় সেবিষয়টি খেয়াল রাখতে মুখ্যসচিবকে নির্দেশও দিয়েছেন মমতা। বিষয়টি তিনি তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি জানান, কালিম্পং, দার্জিলিং ও জলপাইগুড়ি থেকে লোকজনকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যেতে সমস্ত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের সিনিয়র মন্ত্রী ও আমলাদের উত্তরবঙ্গে গিয়ে উদ্ধার ও ত্রাণকার্য খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে সিকিম সরকারকে পরিস্থিতি মোকাবিলায় পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাত দুটো নাগাদ সিকিমের মুখ্য সচিব ফোন করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিবকে। সিকিমের পরিস্থিতি সম্পর্কে জানিয়ে রাজ্যের মুখ্য সচিবকে ফোন করেন। গোটা বিষয় সম্পর্কে ইতিমধ্যেই জানানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে। আরও উদ্ধারকার্য করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তিন জেলার জেলাশাসককে। সেনাবাহিনীর জওয়ানদের নিখোঁজের বিষয়েও রাজ্যের মুখ্যসচিবকে জানানো হয়েছে। এ দিকে, রাত ২টোর সময় সিকিমের মুখ্যসচিবের ফোন পাওয়ার পরে  রাজ্যের মুখ্যসচিব মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বিস্তারিত ভাবে কথা বলেন। উত্তরবঙ্গের একাধিক এলাকার অবস্থা সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রীকে বিস্তারিত রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে, হুগলির পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও হাওড়ার উদয় নারায়নপুরের একাধিক এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। সেই বিষয় সম্পর্কেও জানানো হয় মুখ্যমন্ত্রীকে।