কলকাতার শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের মণ্ডপে এবারের থিম ডিজনিল্যান্ড। যা দেখতে দূরদূরান্ত থেকে উৎসবপ্রিয় মানুষ ভিড় জমিয়েছেন। বিশেষ আকর্ষণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল এই মণ্ডপের লাইট অ্যান্ড সাউন্ড। কিন্তু, শুরুতেই ঘটে বিপদ। জনজোয়ারের চাপে পঞ্চমীর রাতেই এই আলোর খেলা বন্ধ করে দেয় উদ্যোক্তরা। যার জেরে মন খারাপ হয়ে যায় দর্শনার্থীদের। আসল ডিজনিল্যান্ডে বিশেষ আকর্ষণ এই লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো। নীল-লাল-হলুদ সবুজ আলোর মাঝেই খেল দেখায় মিকি, মিনি সহ ডিজনিল্যান্ডের সমস্ত চরিত্রগুলি। শিশুদের কাছে যা অত্যন্ত জনপ্রিয়। এই বিশেষ শো দেখার জন্য বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে ডিজনিল্যান্ডে ঘুরতে আসেন পর্যটকরা। যারা বেড়াতে ভালোবাসেন, তাদের বাকেট লিস্টে অবশ্যই থাকে এই ডিজনিল্যান্ড। আলোর খেলার সঙ্গেই ডিজনিল্যান্ডের এই বিশেষ শোতে থাকে নানাবিধ মিউজিক। কমিক চরিত্রগুলির স্বরে নানা মেসেজ উড়ে আসে দর্শকাসনে বসে থাকা শিশুদের জন্য। এই ডিজনিল্যান্ডের লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শোয়ের সাক্ষী থাকা শিশুদের কাছে স্বপ্নের মতো। এখন শ্রীভূমির প্যান্ডেলে ঢুকে মন খারাপ দর্শনার্থীদের। কারণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে লাইট শো। ডিজনিল্যান্ডের আলোর খেলা দেখতে দূরদূরান্ত থেকে ছুটে এসেছেন অনেকে। এমনকী ভিনরাজ্যে বসবাসকারী অনেকেও শ্রীভূমির এবারের থিম দেখার জন্য এসেছে। কিন্তু তাঁদের ফিরে যেতে হচ্ছে আলোর খেলা না দেখেই। ক্লাব সূত্রে খবর, এবারে শ্রীভূমির ডিজনিল্যান্ডে বিশেষ ধরনের আলোর বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। প্রোজেক্টরের মাধ্যমে মণ্ডপে বিশেষ ধরনের আলোরা ব্যবস্থা করা হয়েছিল। পুলিশের পরামর্শে আপাতত তা বন্ধ করে রাখা হয়েছে। লাইট শো চললে দর্শনার্থীদের মধ্যে মণ্ডপে ভিতর থেমে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছিল। এতে ভিড় আরও বাড়ছিল। আর তা সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছিল পুলিশ। সেই কারণে মণ্ডপের লাইট শো আপাতত বন্ধ রয়েছে। অন্যদিকে, ভিড়ের চাপেই সন্তোষ মিত্র স্কয়্যারে দর্শনার্থীদের প্রবেশ বন্ধ করে দিল পুলিশ৷ এমনই দাবি করেছেন সন্তোষ মিত্র স্কয়্যারের প্রধান কর্মকর্তা তথা বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ৷ তাঁর অভিযোগ, পুজো কমিটির সঙ্গে কোনও কথা না বলেই বিকেল থেকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে সন্তোষ মিত্র স্কয়্যারের মণ্ডপে দর্শনার্থীদের ঢুকতে দিচ্ছে না পুলিশ৷ পাল্টা মণ্ডপ নিষ্প্রদীপ করে পুলিশের আচরণের প্রতিবাদ জানানোর হুমকি দিয়েছেন বিজেপি নেতা৷ পুলিশের এই আচরণের প্রবল বিরোধিতা করেছেন পুজোর অন্যতম প্রধান উদ্যোক্তা সজল ঘোষ৷ রীতিমতো হুঁশিয়ারির সুরে তিনি বলেন, ‘আমাদের উপরে চিরাচরিত যে অত্যাচার হত, তা আবার শুরু হয়ে গিয়েছে৷ পাঁচটা বাজতেই রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে৷ ভিড় বাড়লে রাস্তা বন্ধ করুক, কিন্তু আমাদের সঙ্গে পুলিশ কথা বলার প্রয়োজন বোধ করেনি৷ আমরাও পুলিশের সঙ্গে কথা বলব না৷ এলাকার বাসিন্দাদের সবার সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজন হলে আমরা আমাদের মণ্ডপ নিষ্প্রদীপ করে দেব৷’