বকাশ ভবনের সামনে অবস্থানরত শিক্ষকদের সঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে দেখা করতে হবে। এমনটাই দাবি করলেন সিপিএম লিবারেশন নেতৃত্ব। তাদের বক্তব্য, “মুখ্যমন্ত্রীকে অবিলম্বে শিক্ষকদের সাথে বসে অচলাবস্থা ও অনিশ্চয়তার অবসান করতে হবে।” সিপিআই এমএল লিবারেশন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির পার্থ ঘোষ বলেন, “প্রশাসনের সমস্ত ধরনের আক্রমণ,দমন -পীড়নের মোকাবিলা করে পশ্চিমবঙ্গের আক্রান্ত ও আন্দোলনরতন শিক্ষকরা লড়াই জারি রেখেছেন।ন্যায়বিচারের দাবিতে শিক্ষকদের এই লড়াইকে সিপিআই (এমএল) লিবারেশন পূর্ণ সমর্থন ও অভিনন্দন জানায় । পাশে থাকার অঙ্গীকার করছে। রাজ্যজুড়ে পুলিশি দমন পীড়নের বিরুদ্ধে এবং শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে ধিক্কার দিবস পালন করা হয়েছে।” শিক্ষকদের কনভেনশনে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন ডঃ বিনায়ক সেন, অধ্যাপক অমিত দাশগুপ্ত, মিরাতুন নাহার, সজল অধিকারীর মতো বিশিষ্ট জনেরা। ওই সময় সেখানে উপস্থিত হন শুভেন্দু অধিকারী। গত শনিবার করুণাময়ী থেকে বিকাশ ভবন পর্যন্ত শিক্ষকদের সমর্থনে মিছিল করে পড়ুয়ারাও ৷ পার্থ ঘোষ বলেন, “আমরা সকলেই জানিন আজকের শিক্ষকদের যে সংকট তার যে উৎস সেই দুর্নীতির অন্যতম অংশীদার ছিলেন এই শুভেন্দু অধিকারী । স্বভাবতই তার এই অবাঞ্ছিত উপস্থিতি শিক্ষকদের আন্দোলনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। 22 এপ্রিলের আগে পর্যন্ত তিনি প্যানেল বাতিলের পক্ষে ছিলেন। শিক্ষকদের আন্দোলনের প্রধান মুখ মেহবুব মণ্ডল তাঁকে প্রথমেই তাঁর পূর্ব অবস্থান পরিবর্তনের আহ্বান জানান।” সিপিএম লিবারেশন নেতৃত্বের বক্তব্য, “এই পরিস্থিতিকে অতিক্রম করে শিক্ষকরা তাঁদের গণকনভেনশন শেষ পর্যন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে পেরেছেন। সমস্ত ধরনের অবাঞ্ছিত ঘটনা ও অবাঞ্ছিত ব্যক্তিদের অভিসন্ধি মোকাবিলা করে এই আন্দোলন এগিয়ে যাবে।”
