কলকাতা

ময়দানে প্রাতর্ভ্রমণকারীদের ওপর হামলা ও ছিনতাইয়ের ঘটনার ১২ ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেপ্তার ২

প্রাতভ্রমণর্কারীদের ওপর হামলা ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় ১২ ঘণ্টার মধ্যেই অপরাধের কিনারা করল কলকাতা পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হল দুই অভিযুক্তকে। ধৃতরা মহম্মদ ইমরান ওরফে তোতলা এবং অপরজন শেখ সমীর হুসেইন ওরফে সাব্বু বলে জানা গেছে। তোতলা এন্টালি থানার ফুলবাগান রোড এবং এবং সাব্বু বেনিয়াপুকুর থানার ড. সুরেশ সরকার রোডের বাসিন্দা। কলকাতা পুলিশের অ্যান্টি ডেকয়িটি অ্যান্ড রবারি স্কোয়াডের অফিসাররা এদের গ্রেপ্তার করেছেন। ঘটনায় ময়দান থানায় ইতিমধ্যেই একটি মামলা শুরু করা হয়েছে। হামলা ও ছিনতাইয়ের ঘটনাটি আজ ভোর ৫টা ২০মিনিট থেকে ৫টা ৩০ মিনিটের মধ্যে ঘটে। পুলিশ জানা গেছে, এদিন সকালে রাকেশ রানা এবং শচীনকুমার সাউ প্রাতর্ভ্রমণে বেরোন। ময়দানের কাছে রেড রোডে মহামেডান স্পোর্টিং মাঠের উল্টোদিকে এঁরা এই দুই ছিনতাইকারীর খপ্পরে পড়েন। অভিযুক্তরা ছুরি ও আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে দু’জনের থেকে দু’‌টি মোবাইল ফোন ও নগদ ৪,৫০০ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এরপর এই দুই অভিযুক্ত ফের পোস্তা থানার বসাক স্ট্রিটের বাসিন্দা হরগোবিন্দ ব্যাস নামে আর এক প্রাতর্ভ্রমণকারীকে খিদিরপুর রোডে ধরে তাঁর আইফোনটি ছিনতাই করতে গেলে তিনি বাধা দেন। বাধা পেয়ে দুই দুষ্কৃতী ছুরি নিয়ে হামলা চালায় তাঁর ওপর। হরগোবিন্দর হাতে আঘাত করে শেষপর্যন্ত ফোনটি নিয়ে চম্পট দেয় তারা। রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তাতেই পড়ে থাকেন হরগোবিন্দ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পুলিশ তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিত্‍সার পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। স্বাভাবিকভাবেই প্রাতর্ভ্রমণকারীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। ময়দান থানার থেকে মামলার তদন্তভার নেয় গোয়েন্দা বিভাগ। তদন্তে নেমে গোয়েন্দারা জানতে পারেন অভিযুক্তরা একটি স্কুটি চেপে এসেছিল। এর পরেই খোঁজ করে বুধবার দুপুর দু’‌টো নাগাদ বেনিয়াপুকুর থেকে প্রথমে তোতলা এবং পরে তার আরেক সহযোগী সাব্বুকে তার বাড়ির কাছ থেকেই গ্রেপ্তার করা হয়।