সাংসদ সৌমিত্র খাঁর বিবাহবিচ্ছেদ মামলায় এবার নতুন মোড়। বিষ্ণুপুরের সাংসদের বিরুদ্ধে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ তুললেন তাঁর স্ত্রী সুজাতা মণ্ডল। এ দিন বাঁকুড়া জেলা আদালতে হাজিরা দিতে এসে এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলেছেন সুজাতা মণ্ডল৷ সুজাতার অভিযোগের সরাসরি জবাব না দিয়ে পাল্টা সৌমিত্র বলেন, ‘জীবন থেমে থাকে না৷’ সুজাতার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ চেয়ে ২০২০ সালে মামলা করেন সৌমিত্র৷ সেই মামলাতেই এ দিন বাঁকুড়া জেলা আদালতে হাজিরা দিতে আসেন দু’ জনে৷ সেখানেই সাংবাদিকদের সামনে সুজাতা দাবি করেন, অন্য এক মহিলার সঙ্গে সৌমিত্রর সম্পর্কের জেরেই তাঁদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়৷ সৌমিত্রর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কথা জেনে ফেলায় তাঁর উপরে অত্যাচারও শুরু হয় বলে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন সুজাতা৷২০১৬ সালের ১ জুলাই বিয়ে হয় সুজাতা এবং সৌমিত্র৷ তখনও বিষ্ণুপুরের সাংসদ ছিলেন সৌমিত্র৷ ভালবসেই বিয়ে করেন দু’ জনে৷ ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃনমূল ছেড়ে সৌমিত্র বিজেপিতে যোগ দেন। ২০১৯ সালে আদালতের নিষেধাজ্ঞায় বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রে প্রচারে নামতে পারেননি৷ সেই সময় সুজাতা স্বামীর হয়ে প্রচারে নামেন। ২০১৯ সালে সুজাতার কাঁধে ভর করেই নির্বাচনী বৈতরনী পেরোন সৌমিত্র। নির্বাচনে জয়ের পরই ধীরে ধীরে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে দূরত্ব বাড়তে থাকে। ২০২০ সালে দু’ জনে আলাদা থাকতে শুরু করেন। সুজাতা তৃণমূলে যোগ দিতেই তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন সৌমিত্র৷ এর পর সৌমিত্র সুজাতার বিবাহবিচ্ছেদের মামলা গড়ায় আদালতে। এ দিন সৌমিত্রর বিরুদ্ধে একাধিক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ আনেন সুজাতা৷ তিনি বলেন, ‘স্বামী ও স্ত্রীর মাঝে তৃতীয় নারীর প্রবেশ কোনও স্ত্রী মেনে নিতে পারে না।’ সুজাতার দাবি, বিয়ের পর থেকেই তাঁর উপরে অত্যাচার চালাতেন সৌমিত্র৷ স্বামীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কথা জানার পর অত্যাচার আরও বাড়ে বলেও অভিযোগ করেন সুজাতা৷ স্বামীর চরিত্র সংশোধনের চেষ্টা করেও কোনও ফল না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়েই তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করতে হয় বলে দাবি সুজাতার।