ক্রাইম

রাজস্থানে সঙ্গমরত যুগলের গায়ে আঠা ঢালল নিদান, মৃত প্রেমিক-প্রেমিকা, জঙ্গল থেকে নগ্ন দেহ উদ্ধার করল পুলিশ, গ্রেফতার তান্ত্রিক

রাজস্থানের উদয়পুরে মনস্কামনা পূরণে তার সামনেই যৌনতায় লিপ্ত হতে হবে বলে এক যুগলকে নিদান দেন তান্ত্রিক। সঙ্গমের সময়ই তাঁদের উপর আঠা ঢেলে দেয় ওই তান্ত্রিক। আঠা ছাড়াতে গিয়ে চামড়া উঠে মৃত্যু হয় যুগলের। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমে চোখ কপালে উঠে গিয়েছে পুলিশেরও। গত ১৮ নভেম্বর জঙ্গলের ভিতর থেকে যুগলের নগ্ন দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তাদের প্রাথমিক অনুমান ছিল, হয়তো প্রেমঘটিত কারণে পরিবারের হাতে খুন হয়েছেন ওই পুরুষ ও মহিলা। কিন্তু তদন্তে নেমে রীতিমতো অবাক হয়ে যান তদন্তকারী আধিকারিকরা। পুলিশ জানায়, মৃত ব্যক্তি বছর তিরিশের রাহুল মীনা। পেশায় তিনি ছিলেন শিক্ষক। মৃত যুবতীর নাম সোনু কুনওয়ার। বয়স ২৮ বছর। পুলিশ জানতে পারে, দু’জনেরই আলাদা-আলাদা জায়গায় বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু দুই পরিবারেরই ভালেশ কুমার নামের এক তান্ত্রিকের উপর অগাধ আস্থা ছিল। তান্ত্রিকের ডেরা শেষনাগ ভাবজি মন্দিরে গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করতেন পরিবারের সদস্যরা। সেখানেই পরিচয় হয় রাহুল ও সোনুর। অল্পদিনেই তাঁদের মধ্যে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। সোনুর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কথা রাহুলের স্ত্রীকে জানিয়ে দেয় তান্ত্রিক। আর তারপর থেকেই স্ত্রীর সঙ্গে ঝামেলা শুরু হয় রাহুলের। বিষয়টি জেনে তান্ত্রিককে হুমকি দেন তাঁরা। এরপরই নিজের ভাবমূর্তি রক্ষা করতে দু’জনকে খুনের ছক কষে ওই তান্ত্রিক। গত ১৫ নভেম্বর ভালেশ জঙ্গলে ডেকে পাঠায় রাহুল ও সোনুকে। ৫০টি ফেভিকুইকের টিউব থেকে আঠা একটি বোতলে ঢেলে সঙ্গে করে নিয়ে যায় সে। এরপর যুগলকে বলে, তার সামনে সঙ্গমে লিপ্ত হলে সব সমস্যা মিটে যাবে। প্রথমে আপত্তি করলেও তান্ত্রিকের জোরাজুরিতে সঙ্গমে মাতেন রাহুল ও সোনু। আর ঠিক সেই সময়ই তাঁদের উপর আঠা ঢেলে দেয় ভালেশ। শরীর থেকে আঠা ছাড়াতে গিয়ে চামড়া উঠে আসতে থাকে দু’জনের। এমনকী, সোনুকে ছাড়াতে গিয়ে শরীর থেকে যৌনাঙ্গ আলাদা হয়ে যায় রাহুলের। সোনুর গোপনাঙ্গও ক্ষতবিক্ষত হয়। মৃত্যু নিশ্চিত করতে দু’জনের গলায় ছুরি চালিয়ে দেয় তান্ত্রিক। তদন্তে নেমে প্রথমে ধন্দে পড়ে যায় পুলিশ। কিন্তু সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে এবং স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করে তান্ত্রিকের হদিশ পায় পুলিশ।