পহেলগাঁও হামলায় চিনা যোগ! কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার দাবি এমনই। জানা গিয়েছে, জঙ্গিরা পাকিস্তানে থাকা হ্যান্ডলারদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চিনা মেসেজিং অ্যাপ ব্যবহার করেছিল। শুধু তাই নয়, হামলার দিন পহেলগামে চিনা স্যাটালাইট ফোনের উপস্থিতিও খুঁজে পেয়েছেন তাঁরা। প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চিনা মেসেজিং অ্যাপগুলি অত্যন্ত শক্তিশালী এনক্রিপ্টেড দিয়ে সুরক্ষিত। ২০২০ সালে গালওয়ান সংঘর্ষের পর এই সব অ্যাপ ভারতে নিষিদ্ধ করা হয়। আপাতত, চিনা স্যাটেলাইট ফোন এবং মেসেজিং অ্যাপ, এই দু’টো বিষয় নিয়েই তদন্ত করছে জাতীয় তদন্তকার সংস্থা NIA। পহেলগাম হামলার পর আমেরিকা, রাশিয়া-সহ প্রায় গোটা বিশ্বই ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে। তবে চিন সমর্থন করেছে পাকিস্তানকেই। কয়েকদিন আগে ‘হাতি-ড্রাগনের নাচ’-এর কথা বলা হলেও, তা নিছকই মুখের কথা ছিল, এমন মনে করছেন আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। হামলার পরই পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মুহাম্মদ ইসহাক দারকে ফোন করেন চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই। ভারত-পাক উত্তেজনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। পাশাপাশি শেহবাজ শরিফের সুরে সুর মিলিয়ে হামলার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিও জানিয়েছেন তিনি। এরপরই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম X-এ তিনি লেখেন, ‘চিন ভারতের একতরফা এবং অবৈধ কার্যকলাপের পাশাপাশি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন প্রচারকে প্রত্যাখ্যান করেছে।’ চিনের ধারাবাহিক সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করে পাকিস্তান। দার বলেন, ‘চিন ও পাকিস্তান সব সময়ের সাথী।’ আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা, পারস্পরিক সম্মান এবং একতরফা আধিপত্যবাদের নীতির বিরুদ্ধে একযোগে কাজ করার প্রতিশ্রুতিও দেন দার।
