ঠাকুরপুকুর কাণ্ডের পার হয়েছে তিন দিন। মূল অভিযুক্ত ভিক্টো ওরফে সিদ্ধান্ত দাস এই মুহূর্তে পুলিশি হেফাজতে। জানা গিয়েছিল, যে ধারাবাহিকটির টিআরপি বাড়ার উদযাপন করতে শহরের ওই পানশালায় গিয়েছিলেন ভিক্টো সহ বাকিরা, রবিবারের ওই নিদারুণ ঘটনার পর ওই ধারাবাহিক থেকেই বাদ দেওয়া হয়েছে স্যান্ডি-ঋ’দের। জানা যাচ্ছে, সংশ্লিষ্ট ধারাবাহিকের তরফে বাদ দেওয়া হয়েছে ঋ সেনকেও। তাঁর বদলে অন্য অভিনেত্রীর খোঁজ চলছে। এও জানা যাচ্ছে, স্যান্ডির চরিত্রটিই আর নেই ধারাবাহিকটিতে। রবিবার সকালে অর্থাৎ দুর্ঘটনার দিন ভিক্টো গাড়িতে ছিলেন সান বাংলার কার্যনির্বাহী পরিচালক শ্রিয়া বসু। অপ্রকৃতস্থ অবস্থায় তাঁর একাধিক ভিডিও এই মুহূর্তে ভাইরাল। তিনিও কি চাকরি খোয়ালেন? জানা যাচ্ছে, এ নিয়ে এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে আলোচনা চলছে। জানিয়ে রাখা যাক, আরিয়ান ভৌমিক কিন্তু এখনও ওই ধারাবাহিকের হিরো। দুর্ঘটনার সময় তিনি গাড়িতে ছিলেন না। নিজের গাড়িতে নিজের ড্রাইভার নিয়ে আগেই ফিরে গিয়েছিলেন বলে খবর। গত রবিবারের ঘটনা। ঠাকুরপুকুরের ভরা বাজার। আচমকাই সেখানে ঢুকে পড়ে এক কালো রঙের গাড়ি। এলোপাথাড়ি চালিয়ে দেয় রবিবারের সকালে বাজার করতে আসা আমজনতার উপর। সেই গাড়ির ধাক্কায় ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে এক জনের। ড্রাইভার সিটে ছিলেন ভিক্টো ওরফে সিদ্ধান্ত দাস। সহযাত্রীর আসনে ছিলেন সান বাংলার কার্যনির্বাহী পরিচালক শ্রিয়া ও অভিনেত্রী ঋ। শ্রিয়া যে মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন সেই প্রমাণ ভাইরাল ভিডিওতে আগেই মিলেছে। এরপরেই ধারাবাহিক থেকে ঋ সেনের পাশাপাশি বাদ পড়লেন স্যান্ডি সাহা। এ বিষয়ে স্যান্ডি বলেন, “মিডিয়া আমাকে নিয়ে আর্টিকেল লিখছে আর সেই খবরের নীচে মানুষের আমাকে নিয়ে নেগেটিভ কমেন্ট লেখাও চলছে। কেন আমাকে নেওয়া হয়েছে? আর কি অভিনেতা নেই? স্যান্ডি তো অভিনেতা নয়। আরে বাবা এটা তো চ্যানেলের সিদ্ধান্ত যে আমাকে তারা নিয়ে ছিল। যাই হোক কাজটা আর নেই। এতে যে আমার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে তা নয়। যেটা হয়েছে সেটা হল সাঙ্ঘাতিক মানসিক ক্ষতি। এমন একটা কারণে বাদ পড়লাম যেটার সঙ্গে আমি জড়িতই নই। ছিলামই না স্পটে। প্রত্যক্ষদর্শীরাও বলেছেন সেই কথা। প্রমাণ হলে সবাই দেখতে পাবে আমি নির্দোষ।” স্যান্ডি আরও বলেন, “চ্যানেল থেকে আমাকে বলা হয়েছিল আমি যেন কোনও মিডিয়াকে বাইট না দিই। কিন্তু কেন বলুন তো? আমাকে জড়িয়ে লেখা চলছে আর আমি বিষয়টা ক্লিয়ার করব না মিডিয়ার কাছে? আমি একাধিক ইন্টারভিউতে বসেছি, বলেছি সবটা। আমি তো নির্দোষ। তাই আমি বুক ফুলিয়ে কথা বলার সাহস রাখি। আমি চ্যানেলের কথা না শুনে মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলেছি। সেই কারণেই হয়ত চ্যানেল আমাকে বাদ দিয়ে দিল। কাজ কারওর জন্য বসে থাকে না। আমার জায়গায় অন্য কোনও অভিনেতার মানে যাঁরা শুধু অভিনয়ই করেন তাঁদের কাজ গেলে অসুবিধা হত আর্থিকভাবে। আমার সেটা হয়নি।”
