আজ দুপুরে ২টোর পর শুরু হয় পুরসভায় শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠান। কাউন্সিলর পদে শপথ নিলেন মূলত শাসকদলের জয়ী প্রার্থীরাই। এদিন বিরোধী বিজেপি ও কংগ্রেস-রা গরহাজির ছিলেন। শপথ অনুষ্ঠানে আসেননি বিজেপির তিন কাউন্সিলর – মীনাদেবী পুরোহিত, সজল ঘোষ, বিজয় ওঝা। অনুপস্থিত কংগ্রেসের সন্তোষ পাঠকও।আসেননি মেয়র পারিষদ পদ থেকে বাদ পড়া নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ইন্দ্রাণী সাহা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। কাউন্সিলর পদে এদিনই অন্যদের সঙ্গে শপথ নিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। তারপর তিনি মেয়র পদে নিজের মনোনয়ন জমা দিয়েছেন পুর কমিশনারের কাছে। এদিন ফিরহাদ হাকিম ছাড়াও, দেবাশিস কুমার, অতীন ঘোষ সহ অন্যান্য কাউন্সিলরদের শপথ পড়ান পুরসচিব খলিল আহমেদ। উপস্থিত ছিলেন পুরমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তাঁর ছেলে সৌরভ বসু, নবনির্বাচিত তরুণ কাউন্সিলরও শপথ নিয়েছেন এদিন। বাংলা ছাড়াও কয়েকজন কাউন্সিলর হিন্দি, উর্দুতেও শপথ নিয়েছেন। সুমন সিং, শচীন কুমার সিং হিন্দিতে শপথবাক্য পাঠ করেন। আবার জসিমউদ্দিন, ইকবাল আহমেদ উর্দু ভাষায় শপথ নিয়েছেন। অন্যদিকে, শপথ অনুষ্ঠান শেষে ভাবী মেয়র ফিরহাদ হাকিম সাংবাদিক বৈঠক করেন। জানা গেছে, আগামী ২৭ তারিখ দুপুর ১২টায় সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের দলনেতা ফিরহাদ হাকিম কলকাতা পুরসভার মেয়র হিসাবে শপথ নেবেন। ওইদিনই দুপুরে মেয়র ইন কাউন্সিলরাদের নিয়ে একটি মিটিং ডেকেছেন মেয়র। তার পর তৃণমূলের ইস্তাহার অনুসারে ‘দশ দিগন্ত’-নিয়ে আলোচনায় বসবেন মেয়র। সেখানে ঠিক করে নেওয়া হবে, দশ দিগন্তে উল্লিখিত কাজগুলির মধ্যে কোনগুলিকে প্রাধান্য দেওয়া দরকার। সেই প্রাধান্যর ভিত্তিতে কাজ ঠিক করে নেওয়া হবে। দ্রুত কাজ শুরু করে দেবেন নির্বাচিতরা। পাশাপাশি, নতুন পুরসভার ক্ষেত্রেও চালু থাকবে ‘টক-টু-মেয়র।’ ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, টক-টু-মেয়রর মাধ্যমে একে বারে তৃণমূল স্তরে মানুষের সমস্যার কথা জানা যায়। তাঁরা সরাসরি প্রশাসনকে সমস্ত সমস্যার কথা জানাতে পারেন।