জেলা

৭ দফা দাবিতে বুধবার থেকে ৩ দিনের ট্রাক ধর্মঘটে মালিকরা

পুলিসি জুলুম, ওভারলোডিং সহ মোট ৭ দফা দাবিতে বুধবার থেকে ৩ দিনের ধর্মঘটে ট্রাক মালিকরা। সামনেই পুজো তার আগে এই ধর্মঘট জিনিসপত্রের দামে প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফেডারেশন অফ ওয়েষ্ট বেঙ্গল ট্রাক অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সজল ঘোষ বলেন, দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে। আর নয়।সজল ঘোষ সংবাদমাধ্যমে বলেন, বাংলার ট্রাক মালিকরা এই ধর্মঘটে সামিল হলেও গোটা দেশের ট্রাক মালিকরা একে নীতিগত সমর্থন জানাচ্ছেন। পরিবহন শিল্প বিরাট ক্ষতির সম্মুখীন। খতিয়ে দেখলে দেখা যাবে ট্রাক মালিকরা ইএমআই দিতে পারছেন না, বহু গাড়ি দাঁড়িয়ে রয়েছে, অর্ধেক গাড়ি কাটাইয়ে বিক্রি করে দিতে হচ্ছে। বহু গাড়ির মালিক সবজি বিক্রি করছে। আমাদের সংসার কীভাবে চলবে। আমাদেরও সংসার রয়েছে, আমাদেরও পুজো রয়েছে। আমাদের দেওয়ালের পিঠ ঠেকে গিয়েছে। এছাড়া আমাদের কোনও উপায় ছিল না। সরকার যদি আগে থেকে ভাবত তাহলে এই পরিস্থিতি হতো না। ধর্মঘট হচ্ছে বুধবার, বৃহস্পতি ও শুক্রবার। ওই ৭২ ঘণ্টা চাক্কা জ্যামের পর আমরা ঠিক করব পরবর্তীতে কী হবে। মোট ৭ লক্ষ ট্রাক ধর্মঘটে যাচ্ছে। মানণীয় মন্ত্রী আমাদের সঙ্গে অনেক কথা বলেছিলেন। কিন্তু আমাদের সমস্যার কোনও সমাধান হয়নি। একদিকে পুলিসের জুলুম, একদিকে  বিএলআরও-র জুলুম। এর জন্যই  এই পথে নামতে বাধ্য হয়েছি।