জল্পনা ছিল, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পই এবছরের নোবেল শান্তি পুরস্কার পাচ্ছেন। বিশেষ করে বুধবার হামাস ও ইজরায়েলের প্রথম দফার শান্তিচুক্তির পর সেই জল্পনা তুঙ্গে ওঠে। ট্রাম্প নিজেও সেই আশা করেছিলেন। কিন্তু শেষপর্যন্ত তাঁর আশায় জল ঢেলে নোবেল কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করল ভেনেজুয়েলার প্রধান বিরোধী নেত্রী মারিয়া করিনা মাচাদোই পাচ্ছেন এবারের পুরস্কার। সালটা ২০০২ সালে প্রথম রাজনৈতিক যাত্রা শুরু হয় কোরিনার। ভোট মনিটরিং গ্রুপের সদস্য হিসাবে তাঁর পথচলা শুরু। সেই সময় তৎকালীন প্রেসিডেন্ট হুগো চাভেজ। সেই সময় দেশদ্রোহিতা-সহ একাধিকবার মৃত্যুর হুমকিও পান তিনি।২০১০ সালে ভেনেজুয়েলার জাতীয় সংসদে বিপুল ভোটে জয়ী হন। ২০১৪ পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন তিনি। ২০১২ নাগাদ ডানপন্থী দল ‘ভেন্তে ভেনেজুয়েলা’ গঠন করেন। এরপরে মাদুরোর সরকার তাঁকে জাতীয় সংসদ থেকে সরিয়ে দেয়। সেই বছরেই পানামা সরকারের পক্ষ থেকে মানবাধিকারের পক্ষে ভেনেজুয়েলার পক্ষ থেকে কোরিনাকে সাখারভ প্রাইজ দেওয়া হয়।২০২৪-২০২৫ সালে টাইমস ম্যাগাজিনে গোটা বিশ্বের ১০০ জন সবথেকে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের তালিকায় উঠে আসেন তিনি।২০২৩ সালে ৯২% ভোট পেয়ে জিতলেও ১৫ বছরের জন্য তাঁকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে মাদুরো সরকার। ২০২৪ সালের অগাস্ট থেকে একের পর এক হুমকি পেয়ে তিনি আপাতত লুকিয়ে আছেন। ২০২৫ সালে তাঁকে মাদুরো সরকারের পক্ষ থেকে গ্রেফতার করা হলেও আন্তর্জাতিক চাপে পড়ে ছাড়তে বাধ্য হন।অবশেষে ১০ অক্টোবর ২০২৫ সালে দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের মাঝেও লড়াই জারি রাখাকেই কুর্নিশ জানাল বিশ্ব। ভেনেজুয়েলার মহিলা পেলেন বিশ্ব শান্তি নোবেল পুরস্কার।


