এই বছরও বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বসন্ত উৎসবে প্রবেশ করা নিয়ে কড়াকড়ির পথে গেল কর্তৃপক্ষ। অনুমতি কি মিলবে সাধারণ মানুষজনের? উঠছে প্রশ্ন। ২০২৪ সালের মতোই শুধুমাত্র বিশ্বভারতীর পড়ুয়া–শিক্ষকরাই নিজেদের মধ্যে বসন্ত উৎসব পালন করবেন। গতকাল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। উন্মুক্তভাবে এবারও নয় বসন্ত উৎসব সেটা বোঝাই যাচ্ছে। আগের মতোই বিশ্বভারতীর শিক্ষক–শিক্ষার্থী নিজেদের মধ্যে পালন করবেন বসন্ত উত্সব। দীর্ঘ বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যবাহী বসন্ত উৎসব এক সময় যেখানে পর্যটকদের সমাগম হতো এখন সেখানে শুধুই নিয়মরক্ষা। ২০২০ সাল থেকেই এমন ছবি দেখা যাচ্ছে। করোনাভাইরাসের মতো মহামারী কেটে গেলে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরবে বসন্ত উৎসব বলে মনে করা হয়েছিল। কিন্তু দেখা গেল, স্বাভাবিক ছন্দে গোটা বিশ্ব ফিরলেও বিশ্বভারতী ফেরেনি। এবারও একই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দোলের আগেই এই বসন্ত উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। যার মধ্যে থাকবে না কোনও মেলবন্ধন, ভালবাসা, আন্তরিকতা। শুধু নিয়মরক্ষা করা হবে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই তুমুল চর্চা শুরু হয়েছে। এই ঘটনায় হতাশ স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের আশঙ্কা, যদি এভাবে প্রত্যেক বছর ছাত্র শিক্ষকদের নিয়েই বসন্ত উৎসব পালিত হয়, তাহলে আগামীদিনে আন্তর্জাতিক মানের এই উত্সব হারিয়ে যেতে বসবে। বিশ্বভারতীর তত্কালীন উপাচার্য বিদ্যুত্ চক্রবর্তী অবসর নেওয়া পর ফিরেছে পৌষমেলা। ওই মেলার মাঠেই তা হয়েছে। অনেকে আশা করেছিলেন, বসন্ত উত্সবও নিশ্চয়ই ফিরবে। কিন্তু সে আশায় জল ঢেলে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
