মুকুল রায়কে নিয়ে করা তাঁর ছেলে শুভ্রাংশু রায়ের দাবিকে এবার কড়া ভাষায় কটাক্ষ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ । বুধবার প্রাতঃভ্রমনে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, আমার মজা লাগছে। যিনি বাংলার চাণক্য তাঁকে নাকি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এরপর দিলীপ আরও বলেন, তিনি কি বাচ্চা ছেলে? মুখে চুসি কাঠি নিয়ে ঘুরে বেড়ান? ছেলে বলছে, বাবার হাতে ৫০ হাজার টাকা আছে। খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না, কি করে জানা গেল টাকা আছে? আমার মনে হয়, বাড়ির লোকের অত্যাচারে উনি বাড়ি ছেড়ে চলে গেছেন। উনি বাড়িতে খুব কষ্টে ছিলেন। ছেলে অত্যাচার করে। দলের কাছেও তিনি খুব সুখী নন। সোমবার থেকে নিখোঁজ মুকুল। তাঁর ছেলের দাবি বাবাকে অপহরণ করা হয়েছে। এরপর হঠাৎ দিল্লিতে গিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, আমি বিজেপি বিধায়ক। আমি কোনও দিন তৃণমূল করিনি। বিজেপিতে রাজীনীতি করব। অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করব। মুকুলের দাবি তাঁকে কেউ জোর করেনি। স্বেচ্ছায় দিল্লিতে এসেছি। এদিকে মুকুল রায়ের দিল্লি যাওয়া নিয়ে পীযুষ কানোরিয়ারকে দীঘক্ষন জিজ্ঞাসাবাদ করে বিধাননগর থানার পুলিশ। এ নিয়ে দিলীপ বলেন, পীযুষ সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের কী সম্পর্ক জানিনা। কিন্তু আমাদের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। আমাদের ঘাড়ে দায় চাপানো হচ্ছে। কী কাজ করছে পুলিস? বঙ্গভবনে বাহাত্তর জন রাজ্য পুলিস আছে। তারা কি ভ্যারেন্ডা ভাজে? জিতেন তেওয়ারিকে উত্তর প্রদেশ থেকে ধরে আনতে পারো, আর মুকুল রায় কোথায় তা জানো না? বাংলার লোক কি এতোই বোকা! এরপর মুকুলের বিজেপিতে যোগদান প্রসঙ্গের দিলীপের দাবি, আমরা এসব আবর্জনা চাই না। ওনার মাথার ঠিক নেই, মনের ঠিক নেই। তাই উনি কোথায় আছেন, তার দায় পরিবারের। সেখানে বিজেপিকে ঢোকান হচ্ছে কেন? এগুলো কি ধরনের মামদোবাজি? এরপর আগের ঘটনা মনে করিয়ে দিয়ে দিলীপ বলেন, আগেও মুকুল বলত, এই তো, অমিত শাহ এর সঙ্গে কথা হল। আর কৈলাশ বিজয়বর্গীর সঙ্গে ওনার দোস্তি আছে। বিশেষ বিমানে ওনাকে হায়দরাবাদ নিয়ে গিয়ে চিকিতসা করিয়েছিলেন কৈলাশ। দিলীপের প্রশ্ন, ওনাকে একটা কমিটির চেয়ারম্যান করা হল। সেই কমিটির কি হল? উপড়ে ফেলে দেওয়া হল। ওনার ছেলে বলছে ট্রিটমেন্ট করতে হবে। এতোদিন করেন নি কেন? কেউ ওনার খোঁজ নেয়না।