কলকাতা

উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম দশে ৮৬জন, পাশের হার ৯৭.৬৯ শতাংশ

কলকাতাঃ আজ প্রকাশিত হল উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল৷ পাশের হার ৯৭.৬৯ শতাংশ ৷ ছেলেদের পাশের হার ৯৭.৭০ শতাংশ ৷ মেয়েদের পাশের হার প্রায় সমান ৷ জেলায় পাশের হার ৯০ শতাংশের বেশি ৷ প্রথম দশে রয়েছে ৮৬ জন ৷ তবে কোনও মেধা তালিকা প্রকাশিত হয়নি। সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছেন মুর্শিদাবাদের কান্দি  রাজা মনিন্দ্র চন্দ্র উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের রুমানা সুলতানা। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর হল ৫০০-র মধ্যে ৪৯৯। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের তরফে কোনও ছাত্রীর উচ্চমাধ্যমিকে প্রথম হওয়া সম্ভবত এই প্রথম ঘটল রাজ্যের ইতিহাসে। এবার মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ৮ লক্ষ ১৯ হাজার ২০২। তাঁদের মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৭ লক্ষ ৯৯ হাজার ৮৮ জন। পাশের হার ৯৭.৬৯ শতাংশ। সব জেলার পাশের হার ৯০ শতাংশের বেশি। এ বছর কলা বিভাগ পাশের হার ৯৭.৩৯ শতাংশ। বিজ্ঞান বিভাগে পাশের হার  ৯৯.৭৭ শতাশ। এবং বাণিজ্য বিভাগে পাশ করেছেন ৯৯.০৮ শতাংশ পড়ুয়া। এবার কোনও অসম্পূর্ণরেজাল্ট নেই। উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ জানিয়েছে, ছেলে ও মেয়েদের পাশের হার প্রায় সমান। ৯৭.৩৩ শতাংশ। তবে এবার গতবারের তুলায় ৬০ শতাংশ বা তার বেশি নম্বর পাওয়া পড়ুয়ার সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৩ লক্ষ ১৯ হাজার ৩২৭ জন। রেজাল্টের নম্বর নিয়ে পড়ুয়ারা অসন্তুষ্ট হলে তা রিভিউ করা যাবে। আগামী ২৬ তারিখের মধ্যে নিয়ম মেনে সেই আবেদনপত্র সংসদের অফিসে জমা দিতে হবে। সেই আবেদনপত্র জমা করতে পারবেন সংশ্লিষ্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষক বা শিক্ষিকা। আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা করতে হবে একাদশ শ্রেণির উত্তরপত্র। 

পরীক্ষা ছাড়া উচ্চমাধ্যমিকের মূল্যায়ন পদ্ধতি:

উচ্চমাধ্যমিকের মার্কশিট তৈরির ক্ষেত্রে তিন ধাপে নম্বর দেওয়া হয়েছে । এই তিন ধাপ অর্থাৎ এ,বি,সি তিনটি নম্বর যোগ করে একেকটি বিষয়ের মোট প্রাপ্ত নম্বর বসানো হয়েছে মার্কশিটে।

১) ধাপ এ – ২০১৯ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরাই যেহেতু এ বছরের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী, তাই তাদের মাধ্যমিকের ফলাফল থেকে কিছু নম্বর যোগ করা হয়েছে। সংসদ সভাপতি মহুয়া দাস জানিয়েছিলেন, মাধ্যমিকে যে চারটি বিষয়ে সবচেয়ে বেশি নম্বর রয়েছে, তা বেছে নম্বর যোগ করে, তার ৪০ শতাংশ নম্বর নেওয়া হয়েছে। মার্কশিটে নির্দিষ্ট বিষয়ের প্রথম ধাপের নম্বর সেটাই। এই নম্বর প্রতিটি বিষয়ের ক্ষেত্রে একই থাকবে। অর্থাৎ ধাপ এ-র নম্বর স্থায়ী।

২) ধাপ বি (যে সব বিষয় ল্যাবরেটরিতে প্র্যাকটিক্যাল হয়) – একাদশ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষায় থিওরির মোট নম্বরের ৬০ শতাংশের উপর নম্বর দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ মোট ১০০ নম্বরের মধ্যে থিওরি যদি ৭০ নম্বরের হয়, তাহলে তার ৬০ শতাংশ অর্থাৎ ৪২ নম্বরের মধ্যে পড়ুয়ার প্রাপ্ত নম্বর বিবেচিত হয়েছে।

৩) ধাপ সি (যে সব বিষয় ল্যাবরেটরিতে প্র্যাকটিক্যাল হয়) – বাকি থাকছে ৩০ নম্বরের প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা। দ্বাদশ শ্রেণির প্র্যাকটিক্যালে যে নম্বর পেয়েছে পড়ুয়া, সেই নম্বরের পুরোটা যোগ হবে।

৪৯৯ পেয়ে উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম কান্দির রুমানা সুলতানা