আগামীকাল থেকে বিশেষ প্যাসেঞ্জার ট্রেনে চলাচল শুরু দেশের মধ্যে। ট্রেন চলবে দিল্লি থেকে ভারতের ১৫টি স্টেশনে। হাওড়া, ডিব্রুগড়, আগরতলা, পটনা, বিলাসপুর, রাঁচী, ভুবনেশ্বর, সেকেন্দ্রাবাদ, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, তিরুবনন্তপুরম, মডগাঁও, মুম্বই সেন্ট্রাল, আমেদাবাদ ও জম্মু-তাওয়াই। যে রাজ্যে গন্তব্য, তার ৩ স্টেশনে ট্রেন থামবে।
কী কী নিয়মে প্যাসেঞ্জার রেল পরিষেবা শুরু হল, দেখে নিন এক নজরে –
🔴 স্টেশনের রিজার্ভেশন কাউন্টার থেকে টিকিট পাওয়া যাবে না। অনলাইনে টিকিট বুকিং সারতে হবে। আইআরসিটিসির ওয়েবসাইট (www.irctc.co.in)-এ গিয়ে নিজের প্রোফাইল বানিয়ে টিকিট বুক করতে হবে। সোমবার সন্ধ্যে ৬টা শুরু হল টিকিট বুক।
🔴 প্রত্যেক যাত্রীকে একে অপরের থেকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। স্টেশনে তো বটেই এমনকি ট্রেনের ভিতরেও। থ্রি-টায়ার কামরাগুলির মাঝের বার্থটি খোলা হবে না।
🔴 যাত্রা চলাকালীন মাস্ক পরে থাকতে হবে সবাইকে।
🔴 যে স্টেশন থেকে ট্রেন ছাড়ছে এবং যেখানে পৌঁছচ্ছে, দু’বারই হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে যাত্রীদের হাত ধোয়াতে হবে।
🔴 ট্রেন ছাড়ার ৯০ মিনিট আগে স্টেশনে পৌঁছতে হবে। সবার স্ক্রিনিং হবে। উপসর্গহীনদেরই কেবল ট্রেনে উঠতে দেওয়া হবে। ট্রেন ছাড়ার ১৫ মিনিট আগে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
🔴 ট্রেনগুলির পুরোটাই এসি। তাই রেলের ভাড়া কমানো হবে না। ভাড়া রাজধানী ট্রেনের মতোই।
🔴 টিকিট কনফার্ম হলেই ট্রেনে ওঠা যাবে। কোনও আরএসি বা ওয়েটিং লিস্ট থাকবে না।
🔴 যাত্রীদের হালকা মালপত্র নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
🔴 গন্তব্যে পৌঁছনোর পরেও স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে।
🔴 প্রত্যেক যাত্রীকে আরোগ্য সেতু অ্যাপটি ডাউনলোড করার কথা বলছে কেন্দ্র।
🔴 সর্বোচ্চ সাতদিন আগের ট্রেনের টিকিট কাটা যাবে।
🔴 সর্বনিম্ন ২৪ ঘণ্টা আগে টিকিট বাতিল করা যাবে। টিকিট বাতিল করার মূল্য টিকিটের ৫০ শতাংশ।