তরুণীকে হোটেল থেকে অপহরণ ও ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ উঠল পুরীতে। সমুদ্রসৈকত থেকে অন্তর্বাস পরা অবস্থায় ওই তরুণীর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারের সময় তাঁর মুখ কালচে হয়ে গিয়েছিল। পাশাপাশি তাঁর আঙুল ক্ষতবিক্ষত ছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তরুণীকে ধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের। পুলিশ অবশ্য এই অভিযোগ উড়িয়ে দাবি করেছে, সমুদ্রে ডুবে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে ওই তরুণীর। দেহ ময়না তদ ন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। গত ২৬ নভেম্বর পুরীর পেন্থাকাটা এলাকায় একটি সমুদ্রসৈকত থেকে ওই তরুণীর দেহ উদ্ধার করা হয়। গত ২৩ নভেম্বর থেকে ওই তরুণী নিখোঁজ ছিলেন বলে দাবি পরিবারের। তাঁদের দাবি, হোটেলের বাইরে জামাকাপড় শুকোতে দেওয়া ছিল। তা আনার জন্য গত ২৩ তারিখ হোটেলের বাইরে গিয়েছিলেন ওই তরুণী। তারপর আর হোটেলের ঘরে ফিরে আসেননি। তরুণীর বাবার অভিযোগ, তাঁর মেয়ের মুখে অ্যাসিড ঢালা হয়েছে, যাতে তাঁকে চিহ্নিত করতে না পারা যায়। কানের দুল, সোনার নাকছাবি দেখে তরুণীর দেহ চিহ্নিত করেন তাঁর বাবা। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, উদ্ধারের সময় তরুণীর মুখ কালচে ছিল। তাঁর আঙুলগুলি বিকৃত অবস্থায় ছিল। পুলিশের তরফে বলা হয়েছে, সমুদ্রে তলিয়ে গিয়েছিলেন তরুণী। দীর্ঘক্ষণ সমুদ্রের জলে থাকায় তরুণীর মুখ কালচে রঙের হয়ে যেতে পারে। অন্যদিকে, আঙুলগুলি ক্ষতবিক্ষত হওয়ার যুক্তি হিসাবে পুলিশের দাবি, কোনও সামুদ্রিক প্রাণী হয়তো সেগুলি খেয়ে নিয়েছে। তবে পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। জানা গিয়েছে, ওই তরুণী মধ্যপ্রদেশের সাগর জেলার বাসিন্দা। পরিবারের সঙ্গে পুরী বেড়াতে এসেছিলেন তরুণী।