দেশ

হানিট্র্যাপে ফেঁসে ISI এজেন্টকে তথ্য পাচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার কানপুর অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরির কর্মী

দিনের পর দিন শত্রু দেশের হাতে তুলে দেওয়া হতো নানা গোপনীয় তথ্য। শেষ পর্যন্ত পর্দাফাঁস হলো সেই কাজের। দেশের গোপনীয় তথ্য পাকিস্তানের হাতে তুলে দেওয়ার অভিযোগে এ বার কানপুর অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরির এক কর্মীকে গ্রেপ্তার করল উত্তর প্রদেশের অ্যান্টি-টেররিস্ট স্কোয়াড (এটিএস)। ধৃত কুমার বিকাশ জুনিয়র ওয়ার্কস ম্যানেজার পদে কর্মরত ছিলেন। ১৩ মার্চ একই অভিযোগে হজরতপুর অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরির কর্মী রবীন্দ্র কুমারকে গ্রেপ্তার করেছিল এটিএস। অভিযোগ ছিল, হানিট্র্যাপে ফেঁসে এবং টাকার বিনিময়ে অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরির নানা গোপনীয় এবং সংবেদনশীল তথ্য এক আইএসআই-এর এজেন্টের হাতে তুলে দিয়েছেন রবীন্দ্র। এটিএস জানিয়েছে, তদন্তেই উঠে আসে কুমার বিকাশের নাম। ওই ব্যক্তি আইএসআই এক এজেন্টের হাতে নানা গোপনীয় তথ্য তুলে দিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এটিএস জানিয়েছে রবীন্দ্র কুমারের ঘটনাতেও নেহা শর্মা নামধারী এক আইএসআই এজেন্টের নাম সামনে এসেছিল, কুমার বিকাশের ক্ষেত্রেও এই নেহার হাতেই তথ্য তুলে দেওয়া হতো বলে অভিযোগ উঠে এসেছে। এটিএস-এর তদন্তে উঠে এসেছে যে, এই নেহা শর্মা আদতে ভুয়ো পরিচয়। নিজেকে ভারত হেভি ইলেকট্রিক্যালস লিমিটেডের কর্মী বলে পরিচয় দিয়েছিল ওই নেহা। একটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে কুমার বিকাশের সঙ্গে কথা হতো ওই নেহার। এটিএস জানিয়েছে, অস্ত্র উৎপাদনের তথ্য থেকে শুরু করে গোলা-বারুদ উৎপাদনের তথ্য, যন্ত্রের তথ্য এবং কর্মীদের তথ্যও ওই আইএসআই এজেন্টের হাতে তুলে দিয়েছে কুমার বিকাশ।