বিবিধ

জলপথে দুই বাংলাকে জুড়বে প্রমোদতরী গঙ্গাবিলাস, আগামী ১৩ জানুয়ারি ক্রূজের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

উত্তরপ্রদেশের বারাণসী থেকে অসমের ডিব্রুগড়। জলপথে ৫১ দিনের যাত্রায় মোট ৩ হাজার ২০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেবে প্রমোদতরী ‘গঙ্গা বিলাস’। এশিয়া মহাদেশের তিনটি প্রধান জলপথ ন্যাশনাল ওয়াটারওয়ে ১ যা গঙ্গা-ভাগীরথী-হুগলি রিভার সিস্টেম, কলকাতা থেকে ধুবরি পর্যন্ত বিস্তৃত ইন্দো-বাংলা প্রোটোকল রুট ও ব্রহ্মপুত্র নদের উপর থাকা ন্যাশনাল ওয়াটারওয়ে ২-এর উপর দিয়ে যাবে। সূত্রের খবর, পৃথিবীর বৃহত্তম প্রমোদতরী গঙ্গাবিলাস আগামী ১০ জানুয়ারি উত্তরপ্রদেশের বারাণসী থেকে ছাড়বে আর অসমের ডিব্রুগড় পৌঁছবে মার্চের এক তারিখে। রাস্তায় পড়বে পাটনা, কলকাতা, ঢাকা, ধুবরি, গুয়াহাটি ও মাজুলি দ্বীপ। যাত্রাপথে পড়বে অন্তত ৫০টি ঐতিহাসিক স্থান। সেগুলিও দেখার সুযোগ পাবেন পর্যটকরা। ভারত ও বাংলাদেশ মিলিয়ে মোট ২৭টি নদনদীর ওপর দিয়ে যাবে এই প্রমোদতরী। যাওয়ার পথে সুন্দরবন কিংবা কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানের মতো স্থানও ছুঁয়ে যাবে গঙ্গাবিলাস। এর অন্দরে রয়েছে মনোরঞ্জনের ঢালাও আয়োজন। গান, বাজনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের বন্দোবস্ত করেছেন কর্তৃপক্ষ। সেই সঙ্গে থাকছে শরীরচর্চা, রূপচর্চার কেন্দ্রও। এই প্রমোদতরীতে এক সঙ্গে ৮০ জন যাত্রী থাকতে পারবেন। নদীর বুকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের জন্য প্রমোদতরীর মধ্যেই থাকছে আলাদা জায়গা। রয়েছে মোট ১৮টি কেবিন। তাতে এলইডি টিভি থেকে শুরু করে আধুনিক শৌচাগার-সহ থাকছে সবই। নজর রাখা হয়েছে যাত্রী সুরক্ষাতেও। সম্ভাব্য দুর্ঘটনা এড়াতে সব রকম বন্দোবস্ত রাখা হয়েছে।জানা গিয়েছে, বারাণসী থেকে যাত্রা শুরু করে বক্সার, রামনগর, গাজিপুর পেরিয়ে অষ্টম দিনে পটনা পৌঁছবে ‘গঙ্গা বিলাস’। সেখান থেকে ফরাক্কা, মুর্শিদাবাদ হয়ে কলকাতা পৌঁছতে সময় লাগবে আরও দু’দিন।কলকাতা থেকে ওপার বাংলায় পাড়ি দেবে ‘গঙ্গা বিলাস’। বাংলাদেশের এই প্রমোদতরী থাকবে আরও ১৫ দিন। বাংলাদেশ থেকে গুয়াহাটি হয়ে ফের ভারতে প্রবেশ করবে প্রমোদতরী অসমের ডিব্রুগড়ে গিয়ে শেষ হবে তার যাত্রা।