উত্তরপ্রদেশের সম্ভলে মুঘল আমলের শাহি জামা মসজিদের সমীক্ষাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক অশান্তি হয়। ওই মসজিদটি হরিহর মন্দির ভেঙে তৈরি হয়েছিল। সম্রাট বাবর সেই কাজ করে গিয়েছেন। তাই মসজিদের সমীক্ষার আর্জি জানিয়ে জেলা আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন এক আইনজীবী। তাঁর দায়ের করা আবেদনের ভিত্তিতে শাহি মাজা মসজিদের সমীক্ষার নির্দেশ দেন বিচারক। গত শনিবার প্রথমবার সমীক্ষা করে এএসআই। কিন্তু গণ্ডগোল বাঁধে গত রবিবার। আদালতের নির্দেশ মতো সম্ভলে ওই মসজিদে দ্বিতীয়বার সমীক্ষা করতে গত রবিবার যান এএসআইয়ের আধিকারিকরা। যাকে কেন্দ্র করে কার্যত রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। এএসআই আধিকারিক ও পুলিসকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে থাকে ক্ষুব্ধ জনতা। পাল্টা পুলিস লাঠিচার্জ শুরু করে ও কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায়। পুলিস ও জনতার খণ্ডযুদ্ধে মৃত্যু হয় চারজনের। সেই ঘটনার তদন্ত করতে তিন সদস্যের একটি বিশেষ কমিটি গড়লেন উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল আনন্দিবেন প্যাটেল। রাজভবনের তরফে বিবৃতি দিয়ে তেমনটাই জানানো হয়েছে। রাজ্যপালের গড়ে দেওয়া তদন্ত কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি দেবেন্দ্রকুমার অরোরা। এছাড়াও কমিটির বাকি দুই সদস্য হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে অবসরপ্রাপ্ত আমলা অমিত মোহন প্রসাদ ও অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস অরবিন্দ কুমার জৈনকে। সূত্রের খবর, এই কমিটি কয়েকটি বিষয়ে তদন্ত করে আগামী দু’মাসের মধ্যে রাজ্যপালের কাছে একটি রিপোর্ট জমা দেবে। পুলিসের সঙ্গে জনতার খণ্ডযুদ্ধের ঘটনা পরিকল্পিত নাকি হঠাৎ করে হওয়া অশান্তি, সেই বিষয়ে তদন্ত করবে এই কমিটি। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে যাতে এইধরনের ঘটনা এড়ানো যায় সেই বিষয়ে বেশ কিছু সুপারিশ করবে এই কমিটি। আজ, শুক্রবার ওই মসজিদে সমীক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ের উপর শুনানি রয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছে শাহি জামা মসজিদ কর্তৃপক্ষ।