চিকিৎসকদের আশ্বস্ত করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছিলেন, তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কঠোর আইন আনা হবে কেন্দ্রের তরফে। এবার সেই প্রতিশ্রুতি পূরণে রাতারাতি কেন্দ্র এবার কড়া আইনি পথে হাঁটল। চিকিৎসক, নার্স এবং অন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর হামলা চালালে সাত বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। এই বিষয়ে বুধবার একটি অর্ডিন্য়ান্স জারি করে কেন্দ্রীয় সরকার। চিকিৎসকদের পূর্ব পরিকল্পিত প্রতীকী প্রতিবাদ থেকে সরে আসার আবেদন জানিয়ে এদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাদের সবরকমের সাহায্যের আশ্বাস দেন।
স্বাস্থ্যকর্মীদের নিগ্রহ করলে হামলাকারীর বিরুদ্ধে জামিনঅযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হবে। এই অপরাধে সাত বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে বলেও ঘোষণা করা হয়। এছাড়া এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর বুধবার দুপুরে এই বিষয়ে ঘোষণা করেন তিনি। ১২০ বছরের পুরনো মহামারী আইনে সংশোধন করে এই অর্ডিন্যান্স জারি করা হয়েছে। জাভরেকর বলেন, কোনও চিকিত্সক বা স্বাস্থ্যকর্মীর ওপরে হামলা হলে ৫০,০০০-২,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে ২ লাখ থেকে ৫ লাখ টাকাও জারিমানাও হতে পারে। এছড়াও সাধারণ ঘটনার ক্ষেত্রে ৬ মাস থেকে ৫ বছর জেল ও গুরুতর ঘটনার ক্ষেত্রে ৭ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। ধরা পড়লে কোনও জামিনও পাওয়া যাবে না। অন্যদিকে অর্ডিন্যান্সটি নিয়ে মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। প্রধানমন্ত্রী আজ টুইট করেন, ‘দ্যা এপিডেমিক ডিজিজেস অ্যামেন্ডমেন্ট অর্ডিন্যান্স ২০২০ এর মধ্যে দেশে কোভিড নিয়ন্ত্রণে যারা কাজ করছেন তাদের সবাইকে নিরাপত্তা দেওয়া হবে। যারা সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে চিকিত্সা পরিষেবা দিচ্ছেন তাদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কোনও আপোস করা হবে না।’