কলকাতাঃ উপনির্বাচনের গণনা তখনও শেষ হয়নি। সবে কালিয়াগঞ্জে তৃণমূলের জয়ের খবর এসেছে। সেই সঙ্গে খড়্গপুর ও করিমপুর দুই আসনেই স্বস্তিজনক ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে বাংলার শাসক দল। পরিস্থিতি যখন এমনই তখন ভোট সাফল্য প্রতিক্রিয়া জানাতেও আর দেরি করলেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, “ঔদ্ধত্য আর অহঙ্কারের ফল পেল বিজেপি। এই জয় মানুষের জয়।” সকাল থেকেই বাড়িতে বসে টিভির পর্দায় চোখ রেখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে টেলিফোনে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখছিলেন দুই মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী ও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। কারণ, শুভেন্দু উত্তর দিনাজপুর তথা কালিয়াগঞ্জ এবং পশ্চিম মেদিনীপুর তথা খড়্গপুর সদর আসনের পর্যবেক্ষক। তিন আসনেই তৃণমূলের জয় যে অনিবার্য তা আন্দাজ করেই তাঁর প্রতিক্রিয়া জানান দিদি। তিনি বলেন, “লোকসভা ভোটের পর থেকেই বিজেপির দম্ভ বেড়ে গিয়েছিল। এনআরসি করে দাও, একে নাগরিকত্ব দাও ওকে দেশ থেকে বের করে দাও। যেন জমিদারি ওদের। নাগরিকত্ব দেওয়ার ওরা কে! এমনিতেই তো সবাই এ দেশের নাগরিক”।