কলকাতা: কার্নিভালের দিন তাঁকে ইচ্ছাকৃতভাবে অপমান করেছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের বিরুদ্ধে ঠিক এমনই অভিযোগ আনলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়।এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন তিনি। বলেন, কার্নিভালের দিন তিনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের পুরো সময়টাই তিনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু ৪ ঘণ্টা বসে থাকলেও তাঁকে কোথাও দেখানো হয়নি। তাঁর নাম পর্যন্ত উল্লেখ করা হয়নি। এই ঘটনায় তিনি যথেষ্ট অপমানিত বোধ করেছেন।এমনকি রাজ্যপাল বলেন, কার্নিভালের অনুষ্ঠানে তাঁর জন্য আলাদা মঞ্চ তৈরি করা হয়েছিল। বাকি সকলের সাথে এক মঞ্চে স্থান পাননি তিনি। আর এই সবকিছুতেই ‘ব্যথিত’ বলে জানিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তাঁর উপর ‘সেন্সরশিপ’ করা হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর।তাঁর স্পষ্ট কথা, গোটা সময় তিনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু তাঁর উপস্থিতির কথা কোত্থাও তুলে ধরা হয়নি। আর এটা ইচ্ছাকৃতভাবেই করা হয়েছে।রাজ্যপাল আরও বলেন, তিনি রাজ্যের সাধারণ মানুষকে জানাতে চান তাঁর সঙ্গে সেদিন ঠিক কী ব্যবহার করা হয়েছিল। সেদিন তিনি প্রায় ‘কেঁদে ফেলেছিলেন’ বলে জানান জগদীপ ধনকড়। তিনি রাজ্যের প্রথম নাগরিক… রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। তা সত্ত্বেও তাঁর সঙ্গে এমন ব্যবহার। কেন? সেই প্রশ্নই তুলছেন রাজ্যপাল।মঙ্গলবার একটি অনুষ্ঠান থেকে বেরিয়ে ধনকড় বলেন, তিনি ও তাঁর স্ত্রী আমন্ত্রিত হয়েই সেখানে গিয়েছিলেন। দুর্গাপুজো ঘিরে রাজ্যবাসীর উৎসাহ এবং শৈল্পিক প্রতিভা দেখে তিনি মুগ্ধ। কিন্তু তাঁর সঙ্গে যে ব্যবহার করা হয়েছে তাতে তিনি কষ্ট পেয়েছেন। এটা বাংলার সংস্কৃতি নয়। ব্যক্তিগতভাবে তাঁকে নয়, আঘাত করা হয়েছে সেই সংস্কৃতিকে।তিনি রাজ্যের একজন সেবকমাত্র, যিনি সংবিধান অনুযায়ী কাজ করছেন। পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমকেও তিনি সাহসী হওয়ার পরামর্শ দেন। বলেন, এটা তো জরুরি অবস্থা নয়। নির্ভীকভাবে সংবাদ পরিবেশন করুন। টেলিভিশনে গোটা অনুষ্ঠান দেখে তিনি অবাক হয়েছেন। সারা দুনিয়ার লোক তাঁকে এ নিয়ে প্রশ্ন করেছেন। কোথাও দেখানো হয়নি তাঁকে। তাঁর আশা, যাঁরা এই অসম্মান করেছেন তাঁরা নিশ্চয়ই ভেবে দেখবেন।