কলকাতাঃ মন খারাপের সুরে ইতিমধ্যেই ভরে উঠেছে বাংলার আকাশ-বাতাস। মানতে কষ্ট হলেও আজ দশমী। উমা’র বিদায় নেওয়ার পালা। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে মা’কে বিদায় জানানোর প্রস্তুতি। আবার একটা বছরের অপেক্ষা। তার আগে সবাই চাইছেন হাসি মুখে মা’কে বিদায় দিতে। মণ্ডপে মণ্ডপে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে মহিলাদের সিঁদুর খেলা। দুপুরের পর থেকেই গঙ্গার বিভিন্ন ঘাটে ঘটে ধীরে ধীরে শুরু হয়েছে প্রতিমা বিসর্জন। বিকেলের পর বেড়েছে দেবী প্রতিমা নিরঞ্জনের সংখ্যা। ইতিমধ্যেই একাধিক ঘাটে প্রতিমার লম্বা লাইন পড়ে গিয়েছে।প্রতিমা বিসর্জন ঘিরে কলকাতায় গঙ্গার ঘাটে ঘাটে ইতিমধ্যেই নেওয়া হয়ে গিয়েছে যাবতীয় প্রস্তুতি। পরিস্কার করা গঙ্গার ঘাট গুলি। জোরদার করা হয়েছে ঘাটগুলির নিরাপত্তা ব্যবস্থা। মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী, তৈরি রাখা হয়েছে রিভার ট্রাফিক পুলিশ। প্রস্তুত রয়েছেন পুরসভার কর্মীরাও। ভাসানের পর নদীবক্ষ থেকে কাঠামো তুলতে নিয়ে আসা হয়েছে ক্রেনও। বিকেলে বাজেকদমতলা-সহ একাধিক ঘাট পরিদর্শনে যান মেয়র পারিষদ দেবাশীষ কুমার। তিনি সব ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন। কলকাতা পুলিশের তরফে জাননো হয়েছে দ্বাদশী পর্যন্ত প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া যাবে। তাই দশমীর দিন মূলত বাড়ির পুজো এবং কয়েকটি ছোট পুজোর নিরঞ্জন হবে বলে মনে করা হচ্ছে। শহরের অধিকাংশ বড় পুজোর বিসর্জন হওয়ার কথা একাদশী অথবা দ্বাদশীর দিন। তবে রেড রোডে রাজ্য সরকারের বিশেষ পুজো কার্নিভাল এবছর বসছে ১১ অক্টোবর, শুক্রবার। তাই কার্নিভালের জন্য যেসব পুজো মনোনীত হয়েছে এবছর সেই পুজো গুলির ভাসান হবে কার্নিভালের পরেই।