কলকাতাঃ ধর্ষণ সংক্রান্ত কেসে ১০ দিনের মধ্যে চার্জশিট জমা দিতে হবে, পুলিশকে নির্দশে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নারীদের উপর যে কোনও ধরনের অত্যাচার যেমন তিনি সহ্য করেন না, তেমনই আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়াকেও সমর্থন করেন না। মেয়ো রোডে তৃণমূলের সংহতি পালনের মঞ্চ থেকে এভাবেই হায়দরাবাদ এনকাউন্টারের নিন্দা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। বক্তব্যের শুরুতেই তিনি ধর্ষণের সাজা নিয়ে আরও কঠোর আইনের দাবি তোলেন। তাঁর মতে আইন হাতে না তুলে আইনের মধ্যে থেকে ধর্ষককে কঠোর সাজা দেওয়া উচিত। আইন মেনে কাজ করতে হবে। এটা আইন নয়। পুলিশ আইন মেনে আদালতে পেশ করবে। সেখানেই হবে বিচার।এদিন হায়দরাবাদ ও উন্নাওয়ের ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশও করেন। একই সঙ্গে মমতার প্রশ্ন, উন্নাওয়ের মেয়েটি সুরক্ষা পায়নি কেন? একই সঙ্গে পুলিশের প্রতি কড়া নির্দেশ দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ”এই ধরনের ঘটনা ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে গ্রেপ্তার করে দ্রুত চার্জশিট দিতে হবে। যত দ্রুত সম্ভব। তিন থেকে ১০ দিনের মধ্যে। কাগজপত্র জোগাড় করতে হবে।” পুলিশি গাফিলতির অভিযোগ উঠলেও সরকার যে কড়া হাতে তার মোকাবিলা করবে, সেই বার্তাও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ”এটা জরুরি অবস্থা হিসেবে দেখতে হবে। যে করবে না, তার বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেওয়া হবে।দ্রুত বিচারের জন্য পশ্চিমবঙ্গে ৮৫টি ফাস্টট্র্যাক কোর্ট রয়েছে। বিচার ব্যবস্থায় গতি আনা দরকার। দ্রুত চার্জশিট পেশ করে আদালতে অভিযুক্তদের বিচার হওয়া দরকার। কোথাও আইন হাতে তুলে নেওয়া ঠিক হবে না। আদালতের মাধ্যমেই দোষিদের সাজা দেওয়া উচিত। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একা নন, শশী থারুর, অরবিন্দ কেজরিওয়াল, মানেকা গান্ধীও হায়দরাবাদ এনকাউন্টার প্রসঙ্গে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।