কলকাতা

বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ, চারদিন ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা

কলকাতাঃ বঙ্গোপসাগরের মধ্য পশ্চিম এবং সংলগ্ন দক্ষিণ পশ্চিম অংশে গভীর নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়ে গিয়েছে। এমনটাই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। এটি ক্রমশ অন্ধ্রপ্রদেশ ও ছত্তিশগড়ের দিকে এগিয়ে আসছে। এর জেরে আগামী ২৩ থেকে ২৬ অক্টোবর পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জেলায় প্রবল বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।মঙ্গলবার আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বুধবার ওই নিম্নচাপের জেরে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনিপুর এবং ঝাড়গ্রামে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, কলকাতা, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, মালদা এবং উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে। উত্তর বঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারের কিছু অংশে ঝড়-বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। ২৪ তারিখ রাজ্যের সমস্ত জেলায় বৃষ্টি হতে পারে। ২৫ অক্টোবর মালদহ , উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুরেে বেশিরভাগ অঞ্চলেই বৃষ্টি হতে পারে। ২৬ অক্টোবরও রাজ্য জুড়ে চলবে এই বৃষ্টি। ২৪ তারিখ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার হলুদ সতর্কতা দেওয়া হয়েছে পুরুলিয়া ও বাঁকুড়া জেলায়। এই দুই জেলায় ৭০ থেকে ২০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হতে পারে।৭০ থেকে ১১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হতে পারে  পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, দুই বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম, হাওড়া, হুগলী, মুর্শিদাবাদ, ঝাড়গ্রাম, বীরভূম, হুগলী, মালদহ, দুই দিনাজপুরে। এই সমস্ত জেলাতেই ওই দিন জারি করা হয়েছে হ্লুদ সতর্কতা। ২৫ অক্টোবর মুর্শিদাবাদ, নদীয়া, বীরভূম এবং উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি জেলায় কমলা সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস, অর্থাৎ ৭০ থেকে ১১০ মিলিমিটার বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। অপরদিকে দিল্লির মৌসম ভবন জানিয়েছে আরব সাগরের উপরেও একটি ঘূর্ণবাত সৃষ্টি হয়েছে। এই মুহূর্তে যার অবস্থান কন্যাকুমারিকায়। যার ফলে উত্তর ভারতের বেশ কিছু জায়গায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত চলবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। আগামী ৩৬ ঘন্টার মধ্যে নিম্মচাপটির সক্রিয় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ঘন্টায় ৪৫ থেকে ৫৫ কিলোমিটার বেগে হাওয়া বইবে মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, কেরালা, লাক্ষাদ্বীপের উপর দিয়ে। সোমবার থেকেই হলুদ সতর্কতা জারি রয়েছে কোল্লাম, আলাপ্পুঝা, কোট্টায়াম, ইডুক্কি, কোঝিকোড়। আকাশের অবস্থা দেখে সোমবার দুপুরেই ছুটি দিয়ে দেওয়া হয় কেরালার বেশ কিছু স্কুলে।