দেশ

বিএসএনএল বন্ধের জল্পনায় ইতি টানলেন সংস্থার কর্তারা

নয়াদিল্লিঃ বন্ধ হয়ে যাবে বিএসএনএল? এমন জল্পনায় জল ঢাললেন সংস্থার কর্তারা। শুক্রবার সংস্থার চিফ জেনারেল ম্যানেজার রামাকান্ত শর্মা জানালেন, ওয়েস্ট বেঙ্গল টেলিকম সার্কেলে গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ সিম বিক্রি হয়েছে। এই অর্থবর্ষে ইতিমধ্যেই ২ লক্ষ ৪৫ হাজার ৯০৮টি নতুন সংযোগ দেওয়া হয়েছে। গত বছরে এই সংখ্যাটা ছিল ১ লক্ষ ২৯ হাজার ৯৮৮। শুধু তাই নয়, সেপ্টেম্বর ২০১৯ পর্যন্ত ১২ শতাংশ আয় বৃদ্ধি পেয়েছে।সম্প্রতি জিও-র অন্য নম্বরে প্রতি মিনিটে ৬ পয়সা আউটগোয়িং কল চার্জের ঘোষণায় আগামী তিন মাসের মধ্যে আরও লাভের মুখ দেখতে পারে বিএসএনএল। এতে সারা দেশ জুড়ে ৩ থেকে ৪ শতাংশ ব্যবসা বাড়তে পারে বলে আশা করছেন সংস্থার চিফ জেনারেল ম্যানেজার। তাঁর দাবি, এমনিতে অন্যান্য সার্ভিস প্রোভাইডারের চেয়ে তূলনামূলক অনেক কম রেটে মোবাইল পরিষেবা দিচ্ছে বিএসএনএল। মাত্র ১০৮ টাকায় ২৮ দিন সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ফোন করার সুযোগ-সুবিধে মেলে বিএসএনএলে। প্রতিদিন এক জিবি করে ডেটাও মেলে এই স্কিমে। জিও-র নতুন করে আউটগোয়িং কলচার্জ ঘোষণায় এই স্কিম আরও জনপ্রিয়তা পাবে বলেই মনে করছে সংস্থার শীর্ষ কর্তারা।জেনারেল ম্যানেজার (ওয়েস্ট বেঙ্গল টেলিকম সার্কেল) এমসি প্রামাণিক এদিন জানান, ইতিমধ্যেই জিও থেকে অনেকেই বিএসএনএলে আসছেন। কলকাতা, হুগলি, শিলিগুড়ি এই তিন জায়গাতেই গত তিন মাসে একাধিক গ্রাহক জিও থেকে বিএসএনএলে এসেছেন। রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থাটির ঝাঁপ বন্ধ করা নিয়ে সম্প্রতি জল্পনা ছড়ায়। সংস্থার পুনরুজ্জীবন নিয়ে একগুচ্ছ আপত্তি তোলে অর্থমন্ত্রক। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরেও ভারপ্রাপ্ত উচ্চ পর্যায়ের কমিটির কাছে জানতে চায় আর্থিক সংকটে জর্জরিত বিএসএনএল এবং এমটিএনএলকে চাঙ্গা করা আদৌ সম্ভব কি না। এদিন সংস্থার কর্ণধাররা জানান, নানাভাবে ব্যয়সংকোচ করছে সংস্থা। ব্যক্তিগত গাড়ি বাদ দিয়ে ওলা উবের চালু করা হয়েছে সংস্থার আধিকারিকদের যাতায়াতের জন্য। এতে ২৫ শতাংশ খরচ বাঁচানো গিয়েছে। নতুন পরিষেবার মধ্যে ভারত ফাইবারের সাহায্যে ‘ফাইবার টু হোম’ পরিষেবা আসতে চলেছে। চূড়ান্ত কথা হয়ে গিয়েছে ১৬টি কেবল অপারেটরের সঙ্গেও। একাধিক পর্যটনকেন্দ্রে ওয়াইফাই হটস্পট জোন গড়ে তোলা হয়েছে। নতুন আরও ৩৫০ ওয়াইফাই হটস্পট জোন তৈরি হচ্ছে।