ইটাহারঃ মহানন্দায় নৌকোডুবির ঘটনায় বাড়ল মৃতের সংখ্যা। শুক্রবার দুপুরে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে ৫ জনের দেহ। নিখোঁজ বহু। বৃহস্পতিবার রাতের পর শুক্রবার সকাল থেকেই ফের শুরু হয়েছে উদ্ধার কাজ। প্রিয়জনের হদিশ পেতে ঘাটে ভিড় জমিয়েছেন বহু মানুষ।বৃহস্পতিবার সন্ধেয় ৬০ থেকে ৬৫ জন যাত্রীকে নিয়ে উত্তর মালদহের চাঁচোল থানা থেকে উত্তর দিনাজপুরের ইটাহারের দিকে যাচ্ছিল নৌকোটি৷ যাত্রাপথে ইটাহারের মুকুন্দপুর, মালদহের চাঁচোলের জগন্নাথ ঘাট ও বিহারের আবাদপুরের ডুমরুল্লা ঘাটের সংযোগস্থলে উলটে যায় নৌকোটি। প্রাণ বাঁচাতে সাঁতরে পাড়ে ওঠেন অনেকে। তড়িঘড়ি উদ্ধারকাজে হাত লাগায় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। শুরু হয় উদ্ধারকাজ। রাতেই উদ্ধার হয় মোট তিনজনের দেহ। শুক্রবার সকালে মিলেছে নাজমা বিবি ও তামান্না পারভিন নামে আরও দু’জনের দেহ। তাঁরা দুজনেই মালদহের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। নদী থেকে উদ্ধার হয়েছে বেশ কয়েকটি মোটর সাইকেল ও সাইকেল। রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসক অরবিন্দ কুমার মিনা। রায়গঞ্জের পুলিশ সুপার সুমিত কুমার ও স্থানীয় সাংসদ। শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থলে যান রাজ্যের মন্ত্রী গোলাম রব্বানি, মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডল-সহ অন্যরা।শুক্রবার সকাল থেকে ফের শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ। নামানো হয়েছে তিনটি স্পিড বোট ও চারটি নৌকো। শুক্রবার সকাল থেকেই বিভিন্নঘাটে ভিড় জমিয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। প্রিয়জনের সন্ধান পেতে উদগ্রীব সকলেই। স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার হাট থাকার কারণে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করে নদী পারাপার করছিল নৌকাগুলি৷ যা নিয়ে ক্ষোভও প্রকাশ করেন অনেক যাত্রী৷ মাত্রাতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে এমনিতেই মালদহের নদীগুলিতে জলস্তর বেড়ে গিয়েছে৷ ফুঁসছে মহানন্দা৷ এই পরিস্থিতিতে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করার কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে তাঁদের দাবি৷