বাংলার রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের নাম না করেই সংসদে অভিযোগ করলেন, ‘সংবিধান পড়ে দেখছেন না রাজ্যপালরা। বাংলা ও মহারাষ্ট্রে তার প্রমাণ মিলেছে।’ প্রস্তাব দিলেন, সংবিধানের ১১নং অনুচ্ছেদ পড়ুন রাজ্যপাল, রাজনীতিক থেকে সবাই। শুক্রবার রাজ্যসভায় ‘প্রাইভেট মেম্বার রেজলিউশন’-এ অংশ নিয়েছিলেন ডেরেক। ভাষণের শুরুতেই বৃহস্পতিবার রাজ্যের তিনটি কেন্দ্রের উপনির্বাচনে তৃণমূলের বিপুল জয় সত্ত্বেও দলনেত্রী মমতা ব্যানার্জির পরামর্শে বিনয়ী থাকার কথা বলেন। বলেন, ‘ইদানীং রাজ্যপালরা সংবিধানের ১১ নং অনুচ্ছেদ পড়ছেন না। পড়লে জানতেন জনগণের জন্য যা কিছু করার, সব দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জনগণের দ্বারা নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীকেই। রাজ্যপাল তো সাংবিধানিক প্রধান মাত্র।’ রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ, বাংলায় নিয়ম করে নির্বাচিত সরকারের কাজে বাধা দেওয়া হচ্ছে। রাজ্যপাল ঘুম থেকে উঠে দুটো টুইট করে দিচ্ছেন। মর্নিং ওয়াকে গিয়ে বিবৃতি দিচ্ছেন। মধ্যাহ্নভোজের সময় চিত্রসাংবাদিক নিয়ে ঘুরছেন। মন্তব্য করছেন। নৈশভোজের আগে কেন্দ্রের কাছে নালিশ করছেন। এটা কি কোনও রাজ্যপালের কাজ? রাজ্যপাল পদের সম্মান রয়েছে। সবাই সম্মান করতে চায়। কিন্তু, গত দেড় দু’মাস ধরে বাংলায় যা হচ্ছে, কয়েকদিন আগেই মহারাষ্ট্রে যা হয়েছে, তা অত্যন্ত ভয়ঙ্কর।’ ডেরেক টেনে আনেন পুঞ্চি কমিশন, সারকারিয়া কমিশনের সুপারিশের কথা। বলেন, ‘কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী, কোনও রাজ্যের রাজ্যপাল কে হবেন, তার জন্য তিনটি নাম রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাবেন মুখ্যমন্ত্রী। রাষ্ট্রপতি তালিকা থেকে একটি নাম বেছে নেবেন। কিন্তু এখন কী হচ্ছে? ব্রেকিং নিউজে জানা যাচ্ছে কে রাজ্যপাল হচ্ছেন। কোনও ব্রাঞ্চ অফিস থেকে রাজ্যপালের নাম পাঠানো হচ্ছে। আমাদের দাবি, সারকারিয়া কমিশনের সুপারিশ মেনে নেওয়া উচিত।’ উপনির্বানের ফল প্রসঙ্গে বিজেপি-কে দুষে তিনি বলেছেন, ‘অহঙ্কার ভাল নয়। যত অহঙ্কার হবে, বাংলায় বৃহস্পতিবার যে ফল হয়েছে, তাই হবে।’