নয়াদিল্লিঃ শব্দের গতির চেয়ে দ্রুতগতিসম্পন্ন হলে তাকে বলা হয় সুপারসনিক। ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র (মিসাইল) এই প্রযুক্তিতেই তৈরি। কিন্তু হাইপারসনিকের অর্থ, শব্দের চেয়ে পাঁচগুণ বেশি গতিসম্পন্ন।ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রের পর এবার আরও একধাপ এগিয়ে আরও দ্রুতগতির ও উন্নত হাইপারসনিক প্রযুক্তির ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করেছে ভারত। এই প্রযুক্তিতে ভারতকে সাহায্য করবে রাশিয়া।সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে এই ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করতে প্রাথমিক প্রযুক্তিগত পরীক্ষা-নিরীক্ষা ইতিমধ্যই সেরে ফেলেছে দেশের ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও)। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং চলতি বছরের নভেম্বর মাসে এই হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন।ডিআরডিও সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি হাওয়ার গহ্বর তৈরি করে প্রযুক্তিগত খুঁটিনাটি বিষয় সুনির্দিষ্ট মাত্রায় নির্ধারিত করার পর ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির কাজ শুরু হবে। মাইলের এককে ধরলে প্রতি সেকেন্ডে এক মাইলেরও বেশি গতিতে ছুটতে পারে এই হাইপারসনিক প্রযুক্তির ক্ষেপণাস্ত্র।এই বিষয়ে প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বর্তমানে আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের (আইসিএমবি) চেয়ে দ্রুতগতিতে ছুটতে পারলেও হাইপারসনিক প্রযুক্তির ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ন্ত্রণ খুব সহজ। শত্রুপক্ষও এর অবস্থান কার্যত ধরতেই পারে না। আর কার্যকারিতাও ব্রহ্মসের মতোই বহুমুখী হবে। ভূমি, আকাশ এবং যুদ্ধজাহাজ তিন প্ল্যাটফর্ম থেকেই ছোড়া যাবে এই ক্ষেপণাস্ত্র।