নয়াদিল্লি: করোনার সামগ্রিক পরিস্থিতি বিচার করে লকডাউনের সময়সীমা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র৷ হটস্পট হিসেবে যেসব এলাকা চিহ্নিত হয়েছে, সেসব জায়গায় স্থানীয় প্রশাসন স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নির্দেশিকা মেনে চলবে ৷ লকডাউনের দ্বিতীয় পর্যায়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের তরফে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ দেশে যেসব জায়গায় কোরোনার সংক্রমণ সবথেকে বেশি সেই সব জায়গাকে হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে ৷ হটস্পট এলাকায় কোনও মানুষকে পরীক্ষা না করে সেখানে ঢুকতে বা বের হতে দেওয়া যাবে না ৷ চিকিৎসা পরিষেবা, আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থা ও সরকারি কাজের মতো জরুরি পরিষেবা ছাড়া এইসব এলাকায় সমস্ত কার্যকলাপের উপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে ৷ এছাড়া সারা দেশে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে ৷ এর পাশাপাশি হটস্পট ও সংলগ্ন অঞ্চল বাদ দিয়ে বাকি জায়গায় ২০ এপ্রিলের পর থেকে কিছু ক্ষেত্র লকডাউন থেকে ছাড় পাচ্ছে ৷ এর মধ্যে রয়েছে কৃষি, মাছ চাষ ,জরুরি পরিষেবা প্রদানকারী আন্তরাজ্য পণ্য পরিবহণ (রেল, বিমান, সড়ক), ই-কমার্স, ব্যাঙ্কিং পরিষেবা, তথ্য-প্রযুক্তি, চা ও চট শিল্প, গ্রামীণ এলাকায় খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, রান্নার গ্যাস-পেট্রোল-ডিজেল পরিষেবা, ক্যুরিয়ার পরিষেবা, মুদি দোকান-সবজি বাজার-ফলের বাজার (এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই) ৷ পাশাপাশি বেসরকারি নিরাপত্তা পরিষেবা, ইলেকট্রিক মিস্ত্রি-ছুতোর’এর মতো অসংগঠিত শ্রমিকরা পরিষেবা দিতে পারবেন ৷ একনজরে দেখে নেওয়া যাক লকডাউনে কী কী খোলা থাকছে —
হটস্পট ও তার সংলগ্ন এলাকায়
- চিকিৎসা পরিষেবা
- আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থা
- সরকারি কাজ
হটস্পট ও সংলগ্ন অঞ্চল বাদে বাকি জায়গায়
- চিকিৎসা ব্যবস্থা (হাসপাতাল, নার্সিংহোম, ক্লিনিক, টেলি মেডিসিন, ওষুধের দোকান, ল্যাবরেটরি, পশু চিকিৎসালয় ও অন্য)
- আন্তরাজ্য পণ্য পরিবহণ (রেল, বিমান, সড়ক)
- কৃষি
- মাছ চাষ
- সেচ ও জল সংরক্ষণে ১০০ দিনের কাজ
- টেলি যোগাযোগ ও ইন্টারনেট পরিষেবা
- ব্যাঙ্কিং পরিষেবা
- ই-কমার্স
- ক্যুরিয়ার
- ইন্সিউরেন্স পরিষেবা
- তথ্য-প্রযুক্তি
- চা ও চট শিল্প
- হিমঘর ও ওয়্যারহাউজ়
- রান্নার গ্যাস-পেট্রল-ডিজেল পরিষেবা
- মুদি দোকান-সবজি বাজার-ফলের বাজার (এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই)
- চা ও চট শিল্প
- গ্রামীণ এলাকায় খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ
- গ্রামীণ এলাকার কারখানা
- বেসরকারি নিরাপত্তা পরিষেবা
- ইলেকট্রিক মিস্ত্রি, ছুতোর
- খনি এলাকার কাজ
- গ্রামীণ এলাকার ইটভাঁটা
- গ্রামীণ এলাকায় রাস্তা-বাড়ি নির্মাণ প্রকল্প, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প
লকডাউনে বন্ধ থাকছে
- সমস্ত যাত্রীবাহী বিমান, রেল ও সড়ক পরিবহন ব্যবস্থা
- মেট্রো রেল পরিষেবা
- সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
- সমস্ত শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান (কিছু ক্ষেত্রে ছাড়)
- ট্যাক্সি, ক্যাব, রিকশা
- সিনেমা হল
- থিয়েটার
- শপিং মল
- জিম
- স্পোর্টস কমপ্লেক্স
- সুইমিং পুল
- বিনোদন পার্ক
- রোস্তরাঁ ও বার
- সভাঘর
- ধর্মীয় স্থান
- সক্ষাৎকারের ক্ষেত্রে ২০ জনের বেশি জমায়েত নয়