দেশ

৩ মে পর্যন্ত বাড়লো লকডাউনের মেয়াদঃ প্রধানমন্ত্রী

‘অগ্নিপরীক্ষা’ ও ‘সপ্তপদী’-র সাত পরামর্শ এবং সতর্কবার্তা

নয়াদিল্লিঃ আজ সকাল ১০টায় জাতীর উদ্দেশ্যে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ৩ মে পর্যন্ত বাড়লো হল লকডাউনের মেয়াদ। করো্কা ভাইরাস মোকাবিলায় উন্নত দেশগুলির তুলনায় ভারতের অবস্থা অনেকটা ভালো। দেশবাসীর ত্যাগের জন্য ক্ষতি সামলানো অনেকখানি সম্ভবপর হয়েছে। তিনি এও বলেন, সোশ্যাল ডিস্টেন্সিং ও লকডাউনের সুফল পেয়েছে দেশ। যে রাজ্যে হটস্পটের সংখ্যা কম সে রাজ্যে ২০ এপ্রিলের পর লকডাউনের ক্ষেত্রে কিছু ছাড় মিলবে। এইসময়ে রবিশস্য কাটার কাজ চলছে। কেন্দ্র ও রাজ্য মিলে চেষ্টা করছে যাতে কৃষকদের কোনও সমস্যা না হয় । পাশাপাশি, হুঁশিয়ারির সুরে তিনি বলেন, রাজ্যগুলির উচিত সঠিকভাবে লকডাউন পালন করা। কোনও নিয়ম ভেঙে যাতে সংক্রমণের ঘটনা না ঘটে সেই দিকে নজর রাখতে হবে রাজ্য প্রশাসনের। আগামী এক সপ্তাহে করোনা মোকাবিলায় আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আগামীকাল এনিয়ে বিস্তারিত গাইডলাইন প্রকাশ করবে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাড়ির বয়স্কদের খেয়াল রাখুন। বাড়িতে তৈরি মাস্ক ব্যবহার করুন। আরোগ্য সেতু মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড করুন। প্রধানমন্ত্রী আশ্বস্ত করে এও বলেন, দেশে যথেষ্ট পরিমাণে ওষুধ ও খাদ্য মজুত আছে। তাই আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। সাপ্লাই চেনও যাতে আরও সুগম হয় সে ব্যবস্থা হচ্ছে। সেইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী জানান, ভারতে করোনা মোকাবিলায় ১ লক্ষের ওপর বেড তৈরি রাখা হয়েছে। পর্যবেক্ষকদের মতে প্রধানমন্ত্রী আসলে অগ্নিপরীক্ষার কথা বলে মানুষের মধ্যে চ্যালেঞ্জের মনোভাবকেই জাগিয়ে তুলতে চেয়েছেন। বক্তৃতার একেবারে শেষে সাতটি পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী। সেটিকে সপ্তপদী বলে উল্লেখ করেন তিনি। সেই সাতটি পরামর্শ হল –

১) বাড়ির বয়স্কদের উপর বেশি করে নজর দিন বিশেষ করে এমন ব্যক্তি যাঁদের পুরনো অসুখ রয়েছে। তাঁদের জন্য আমাদের অতিরিক্ত যত্ন নিতে হবে। করোনা সংক্রমণ যেন তাঁদের ছুঁতে না পারে।

২) লকডাউন এবং সামাজিক দূরত্বের লক্ষ্মণরেখা পুরোপুরি মেনে চলতে হবে। বাড়িতে তৈরি মাস্ক আবশ্যিক ভাবে ব্যবহার করুন।

৩) নিজের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য আয়ুষ মন্ত্রক দেওয়া নির্দেশ মেনে চলতে হবে। নিয়মিত গরম জল ও কাড়া পান করার মতো পরামর্শগুলি মেনে চলুন।

৪) করোনা সংক্রমণ রোখার জন্য সকলে আরোগ্য সেতু মোবাইল অ্যাপ অবশ্যই ডাউনলোড করুন এবং অন্যদেরও এই অ্যাপ ডাউনলোড করতে বলুন।

৫) যতটা সম্ভব গরিব পরিবারের কথা ভাবুন। ওঁদের খাওয়া দাওয়ার প্রয়োজন মেটান।

৬) আপনার ব্যবসায়, শিল্পে যাঁরা আপনার সঙ্গে কাজ করেন তাঁদের প্রতি সংবেদনশীল হোন। কাউকে চাকরি থেকে ছাড়িয়ে দেবেন না।

৭) দেশের করোনা যোদ্ধাদের অর্থাত্‍, আমাদের ডাক্তার, নার্স, সাফাই কর্মী, পুলিশ কর্মী এমন সবাইকে সম্মান করুন। ওঁদের নিয়ে গর্ব অনুভব করুন।