দিল্লির বুকে ৮০০ কেন্দ্র খোলা হয়েছে, যেখান থেকে বিনামূল্যে গরীবদের খাবার দেওয়া হবে। ১০০০ ন্যায্য মূল্যের দোকান খোলা হয়েছে। যেখান থেকে সাড়ে সাত কেজি রেশন প্রত্যেককে বিনামূল্যে দেওয়া হবে।’
নয়াদিল্লিঃ দিল্লির পরিযায়ী শ্রমিকদের দায় ঝেড়ে ফেলতে চাইছে সংস্থাগুলি। দিল্লির আনন্দবিহার এলাকার গতকাল থেকেই হাহাকার চোখে পড়ে। বাধ্য হয়ে নিজ রাজ্যে ফিরে আসতে মরিয়া তাঁরা। অথচ লকডাউনে স্তব্ধ দেশের সর্বত্র। একটা বাস ঠিক করে দিয়েছে সরকার। যাতে করে তাঁরা ফিরে আসতে পারেন নিজের রাজ্যে। কিন্তু সেখানে এত ভিড় যে কার্যত মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। কেউ বলার নেই যে, এখন সোশ্যাল ডিস্ট্যানসিংয়ে থাকতে হয়। এই পরিস্থিতিতে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এগিয়ে এলেন। কারণ তাঁকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিঠি লিখে জানিয়েছেন, পরিযায়ী শ্রমিকরা যাতে খেতে, থাকতে পারেন, একটু দেখবেন। তাই দিল্লির এই ভয়াবহ পরিস্থিতি দেখে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল শ্রমিকদের কাছে আবেদন করেন, এখন করোনা ভাইরাসের জন্য লকডাউন চলছে। কেউ দিল্লি ছাড়বেন না। সরকার আপনাদের খাবার ও থাকার ব্যবস্থা করে দেবে। দলের বিধায়কদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পরিযায়ী শ্রমিকদের বলেছেন, ‘আপনারা চিন্তা করবেন না। থাকা, খাওয়া এবং জলের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এখানে এসে থাকুন। নিজের রাজ্যে এই লকডাউনের পরিস্থিতিতে যেতে হবে না। দিল্লির বুকে ৮০০ কেন্দ্র খোলা হয়েছে, যেখান থেকে বিনামূল্যে গরীবদের খাবার দেওয়া হবে। ১০০০টি ন্যায্য মূল্যের দোকান খোলা হয়েছে। যেখান থেকে সাড়ে সাত কেজি রেশন প্রত্যেককে বিনামূল্যে দেওয়া হবে।’