কলকাতা

অভিজিৎ বিতর্কের মাঝেই শহরে আসছেন নোবেলজয়ী ফ্রেজার স্টডার্ট

কলকাতা: অর্থনীতিতে নোবেল পুরষ্কার পেয়েছেন বঙ্গতনয় অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। যাঁর শৈশব এবং কৈশোর কেটেছিল কলকাতায়। তাঁকে নিয়ে আনন্দের শেষ নেই বাঙালির। আনন্দের সঙ্গে দোসর হিসেবে বিতর্কও আছে।এই অবস্থায় আগামী দেড় মাসের মধ্যেই কলকাতায় আসতে চলেছেন আরেক নোবেলজয়ী। তবে তিনি বাঙালি নন, ভারতীয়ও নন। প্রবাসী হিসেবেও ভারতের সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই। আরও বড় বিষয় হচ্ছে দারিদ্রতা বা অর্থনীতি নিয়েও তিনি নোবেল পুরষ্কার লাভ করেননি।আলোচিত ব্যক্তি হলেন জে ফ্রেসার স্টডার্ট। তিনি ২০১৬ সালে রসায়নে নোবেল পুরস্কার লাভ করেছেন। আগামী ডিসেম্বর মাসের ১১তারিখে তিনি কলকাতায় আসছেন।‘দ্রুততম’ মলিকিউলার মেশিন উদ্ভাবনের স্বীকৃতি হিসেবে ওই বছরে রসায়নে যৌথভাবে তিন জন বিজ্ঞানীর নাম ঘোষণা করা হয়। তাঁরা হলেন- ফ্রান্সের জ্যঁ-পিয়ের সভেজ, নেদারল্যান্ডসের বেন ফেরিঙ্গা এবং যুক্তরাষ্ট্রের স্যার ফ্রেজার স্টডার্ট। মোলিকিউলার স্কেলের যন্ত্র সংশ্লেষণ এবং ডিজাইন করে বিশ্বকে চমক দিয়েছেন এই বিজ্ঞানীরা। নতুন আবিষ্কৃত এই যন্ত্রের মাধ্যমে মানুষের শরীরে সরাসরি ক্যান্সার আক্রান্ত সেলে ওষুধ প্রবেশ করানো সম্ভব হবে।আণবিক যন্ত্রের নকশা ও কাজের প্রক্রিয়ায় বিশেষ অবদান রাখার কারণেই ওই তিন বিজ্ঞানীদের নোবেল পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে বলে জানিয়েছিল দ্য র‌য়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্স। নোবেল কমিটি কর্তৃক প্রকাশিত তাঁদের গবেষণার বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, “এই তিন বিজ্ঞানী অণু আকৃতির এমন ক্ষুদ্রতম যন্ত্র আবিষ্কার করেছেন যার গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করা যায় এবং এতে শক্তি যোগ করা হলে এটি নির্দেশানুসারে কাজ করতে পারে।”ওই তিন বিজ্ঞানীর একজন জে ফ্রেসার স্টডার্ট চলতি বছরের অন্তিম মাসে কলকাতায় আসছেন। ১৯৪২ সালের মে মাসের ২৪ তারিখে তিনি স্কটল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। পড়ে কর্মসূত্রে আমেরিকায় যান এবং সেদেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন।কোনও গবেষণা বা সেমিনারের উদ্দেশ্যে ভারতে আসছেন না নোবেলজয়ী জে ফ্রেসার স্টডার্ট। বাঙালির প্রাণের শহরে তাঁর আগমনের হেতু হচ্ছে বিয়েবাড়ি। একদম ঠিক পড়েছেন। বিয়ের নিমন্ত্রণ রক্ষা করতেই কলকাতায় আসছেন রসায়নে নোবেলজয়ী ওই মার্কিন নাগরিক।বর্ধমানের ছেলে ইন্দ্রনীল রায় কর্মসূত্রে থাকেন চিকাগো শহরে। জে ফ্রেসার স্টডার্টের অধীনে গবেষণা চালাচ্ছেন। সেই ইন্দ্রনীলের সঙ্গে বিয়ে হচ্ছে সল্টলেকের বাসিন্দা প্রচেতা সাহুর। পাত্রীও বর্তমানে আমেরিকাতেই থাকেন। টেক্সাসের বাসিন্দা তিনি। এই বঙ্গযুগলের প্রণয়ের সাক্ষী হতেই কলকাতায় আসবেন নোবেলজয়ী জে ফ্রেসার স্টডার্ট।