দেশ

উঠতে বসেছে সরকারি সংস্থা!‌ এদিকে এয়ার ইন্ডিয়ার কাছে মোদির সফরের বকেয়া প্রায় ৫০০ কোটি টাকা

ঋণের ভারে জর্জরিত সরকারি বিমান কোম্পানি এয়ার ইন্ডিয়া। দেনা মেটাতে এবং কোম্পানিকে বাঁচাতে সেটিকে বেসরকারিকরণ করতেই হবে বলে ঘোষণা করেছে মোদি সরকার। আগামী মার্চেই সেই কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে বলে দিন কয়েক আগে ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। কিন্তু তথ্য বলছে, সরকারি বিমান পরিবহন কোম্পানিটির এই দশা হতই না যদি কেন্দ্র তাদের নেতা–মন্ত্রীদের যাতায়াত খরচ মিটিয়ে দিত এয়ার ইন্ডিয়াকে। কারণ শুধু ২০১৯ সালেই ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এয়ার ইন্ডিয়ার কাছে কেন্দ্রের বকেয়া ছিল ৭৯৭.‌৯৫ কোটি টাকা। এই বকেয়া টাকার পুরোটাই রাষ্ট্রপতি, উপ রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, বিদেশি প্রতিনিধিরা এবং ভিভিআইপি–দের যাতায়াতে খরচ হয়েছে। যা এই তিন মাসে আরও বেড়েছে। মাস ছয়েক আগে তথ্য জানার অধিকার আইনের একটি প্রশ্নের জবাবে এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যের পরই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। অবসরপ্রাপ্ত কমোডোর লোকেশ বাত্রার কথা ওই আবেদনে এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে শুধু এবছরই প্রধানমন্ত্রীর সফরে ব্যয় হয়েছিল ১৩২১.‌৪১ কোটি টাকা। যার মধ্যে ৮৬২.‌৪৫ কোটি টাকা মিটিয়েছিল কেন্দ্র। এখনও বকেয়া ৪৫৮.‌৯৫৯ কোটি টাকা। 
রাষ্ট্রপতির সফরের খরচ বহন করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। সেখানে ৫৩৯.‌৩৫ কোটি টাকার মধ্যে ২৯৫.‌৪০ কোটি টাকা মেটানো হয়েছিল এয়ার ইন্ডিয়াকে। এখনও বাকি ২৪৩.‌৯৫০ কোটি টাকা। এঁদের মধ্যে উপ রাষ্ট্রপতির সফরের বকেয়া টাকাই তুলনামূলকভাবে অনেক কম। ৭৭৯.‌৪০ কোটি টাকা খরচের মধ্যে ৭০৬.‌৬৯ কোটি টাকা মেটানো হয়েছে।
২০১৬ সালের সিএজি রিপোর্টেই উল্লেখ করা হয়েছিল ভিভিআইপি–দের সফরের বকেয়া বিল এয়ার ইন্ডিয়াকে মেটাতে প্রচুর বিলম্ব করে কেন্দ্রীয় সরকার। ভিভিআইপি–দের জন্য তিনটি বি৭৪৭–৪০০ বিমান মূলত ব্যবহার করে থাকে এয়ার ইন্ডিয়া। ২০১১ সাল থেকে এপর্যন্ত প্রচুর বিল কেন্দ্রের তরফে পাওনা আছে তাদের।   ‌‌