কলকাতা

এলাকায় জীবাণুমুক্ত করা এবং খাদ্য ও ওষুধ পৌঁছে দিতে রাজ্যের একাধিক উদ্যোগ

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে নদিয়ার করোনা আক্রান্ত এলাকায় অত্যাধুনিক জীবানুনাশক স্প্রে মেশিন যুক্ত গাড়ি পাঠাচ্ছে কলকাতা পুরসভা। রবিবার সকাল থেকেই স্থানীয় বিডিও এর উপস্থিতিতে সমগ্র এলাকাটিকে জীবাণুমুক্ত করার কাজ চলবে। এমনটাই জানালেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। লকডাউন এরমধ্যে ওষুধের আকাল দেখা দিচ্ছে অনেক জায়গায়। বয়স্ক মানুষ থেকে শুরু করে অক্ষম ব্যক্তিরা যারা গৃহবন্দি হয়ে রয়েছেন তাদের পক্ষে  ওষুধ আনতে রাস্তায় বের  হওয়া সম্ভব নয়। পরিস্থিতির মোকাবিলায় ইতিমধ্যে শহর কলকাতা জুড়ে পুরসভার অন্তর্গত স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে কর্তব্যরত স্বাস্থ্যকর্মী থেকে শুরু করে বরো কর্মীরা আগামীদিনে প্রয়োজনীয় মেডিকেল অ্যাসিসটেন্ট দেওয়ার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ওষুধ পৌঁছানোর ব্যবস্থা করেছে কলকাতা পুরসভা। যাতে ওষুধের প্রয়োজনে মানুষ লকডাউন ভেঙে রাস্তায় না বের হতে হন। সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই এই ব্যবস্থা চালু হয়েছে। ফিরহাদ হাকিম জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে শহর শহরতলি ও গ্রামাঞ্চলে মানুষের যাতে খাদ্য সংকটে ভুগতে না হয় সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামী সোমবার থেকে তারই প্রথম ধাপ হিসেবে পোস্তা বাজারকে খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শহর শহরতলি ও গ্রামাঞ্চলে হোলসেল ডিলারদের পাশাপাশি বড় দোকানি ও ছোটখাটো বেশ কিছু দোকানদাররা একসাথে মিলে প্রয়োজনীয় দ্রব্য ক্রয় করতে আসতে চাইলে নিকটস্থ পুলিশ স্টেশন থেকে তাদের নির্দিষ্ট পাস দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।এই পাশ নিয়ে ছোটখাটো ট্রাক বা সাপ্লাইয়ের গাড়ি নিয়ে তাঁরা শহর কলকাতার পোস্তা বা জেলা সদর উপজেলার হোলসেল মার্কেট থেকে এই খাদ্যদ্রব্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সংগ্রহ করতে যেতে পারবেন বলেও শনিবার জানান রাজ্যের পুর ও নগর উন্নয়নমন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।