জুনিয়র ডাক্তারের ইন্ধনে বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে উঠল এমআর বাঙুর হাসপাতাল। সকাল সাড়ে দশটা থেকে দুপুর প্রায় ১টা পর্যন্ত টানা হাসপাতালের সুপারের বিল্ডিং ঘিরে চলল বিক্ষোভ। পরিস্থিতি জানতে সুপারকে দফায় দফায় ফোন করলেন রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব, রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান সহ প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিরা। অবশেষে বিক্ষোভ উঠে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। ঘটনার সূত্রপাত দিন কয়েক আগেই। অভিযোগ, এমআর বাঙুর হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিত্সা হবে, এই নোটিস পাওয়ার পর থেকেই জনা কয়েক জুনিয়র ডাক্তার মিলে হাসপাতালের অন্যান্য কর্মীদের এ নিয়ে ভুল বোঝাতে শুরু করেন। সাফাইকর্মী, নিরাপত্তারক্ষী ও চতুর্থ শ্রেণির অন্যান্য কর্মীদের বোঝানো হয় যে করোনা আক্রান্তদের চিকিত্সা করলে, তাঁদের শরীরেও বাসা বাঁধবে মারণ ভাইরাসটি। এতে আতঙ্কিত হয়ে আজ সকাল থেকে সুপার শিশির নস্করের অফিসের সামনে জড়ো হন তাঁরা। কাজ করবেন না, এই দাবিতে শুরু করেন বিক্ষোভ। এমনকী ডিউটি ছেড়ে কোনও কোনও নার্সকেও সেই বিক্ষোভে যোগ দিতে দেখা যায়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ওই জুনিয়র ডাক্তারদের মাসে তিনবার আইসোলেশন ওয়ার্ডে ডিউটি দেওয়া হয়েছিল। অথচ তাঁরা সেই ডিউটি না করে অন্যদের উসকানি দিচ্ছেন বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।