আজ ভোরের আলো ফুটতেই কান্নার রোল উঠল সাগরদিঘির বাহালনগরে। কাশ্মীরে জঙ্গিদের গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যাওয়া নিথর দেহগুলো কফিনবন্দি হয়ে ফিরল গ্রামে। গতকাল রাতে শ্রীনগর থেকে কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছয় পাঁচ শ্রমিকের মরদেহ। ওই দিন রাতেই বিমানবন্দরে পৌঁছে যান রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। গোটা বিমানবন্দর ঘিরে ফেলা হয় নিরাপত্তার ঘেরাটোপে। বিমানবন্দরের বাইরে আগে থেকেই অপেক্ষা করছিল ফুল দিয়ে সাজানো পাঁচটি শববাহী গাড়ি। দেহগুলিকে যত দ্রুত সম্ভব বাহালনগরে পৌঁছে দিতে প্রশাসনের তরফেও যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল । মঙ্গলবার সন্ধ্যা নাগাদ জম্মু ও কাশ্মীরের কুলগামে জঙ্গিদের এলোপাথাড়ি গুলিতে প্রাণ হারায় পশ্চিমবঙ্গ থেকে যাওয়া পাঁচ জন মজুর। গুরুতর জখম আরও এক। নিহত পাঁচ জনকেই চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। তাঁরা হলেন, শেখ কামরুদ্দিন, শেখ মহম্মদ রফিক, শেখ নিজামুদ্দিন, মহম্মদ রফিক শেখ এবং শেখ মুরনসুলিন। আহত জাহিরুদ্দিনকে অনন্তনাগ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শ্রীনগরের হাসপাতালেই তাঁর অস্ত্রোপচার হয়। সেখান থেকে এ দিন রাতে তাঁকেও কলকাতার হাসপাতালেই তাঁর চিকিত্সার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। বিমানবন্দর থেকেই অ্যাম্বুল্যান্সে আহত জহিরুদ্দিনকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।