আজ ক্যাব ও এনআরসি-র বিরোধিতায় যাদবপুর এইট–বি থেকে যদুবাবুর বাজার পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিলে হাঁটেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য্যায়। এদিন কেন্দ্রীয় সরকারকে তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী। সংসদে ক্যাব পাস করানো নিয়ে কেন্দ্রের মোদি সরকারের বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্য্যায় বলেন, ‘বিরোধীদের ক্যাব নিয়ে ভাবনাচিন্তা এবং আলোচনার জন্য কোনও সময় দেয়নি বিজেপি। দ্রুততার সঙ্গে বিল পাস করিয়েছে। কবে বিল পাস হবে তা সংসদে আগে থেকে জানানো হয়নি। ফলে সময় মতো অনেক সাংসদ সংসদে পৌঁছতে পারেননি। সংবিধান মেনে নাগরিকত্ব আইন হয়নি।’ লোকসভায় বিজেপির সংখ্যাগরিষ্ঠতাকে কটাক্ষ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্য্যায় বলেছেন, ‘বিজেপি ভাবছে তারা দেশ দখল করে ফেলেছে। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে সংসদে বিল পাস করলেও মানুষের সমর্থন ছাড়া এই বিল কার্যকরী হবে না।’ সিএএ–র বিরোধিতায় অসম, ত্রিপুরার গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রতি তাঁর এবং তাঁর দলের সহমর্মিতা জ্ঞাপন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য্যায়। নোটবন্দীর পর উত্তর প্রদেশ বিধানসভা ভোট জিতেছিল বিজেপি। সেকথা উল্লেখ করে মমতা এদিন ফের নাম না করে এবারের লোকসভা ভোটে ইভিএম–এ কারচুপির অভিযোগ তোলেন। দিন দুয়েক আগে মোদি বলেছিলেন বিক্ষোভকারীদের পোশাক দেখেই তাদের চেনা যায়। মোদির সেই মন্তব্যকে ঠুকে মমতার মন্তব্য, ‘পোশাক–খাবার যার যার নিজের মতো। পোশাক দেখে কি আন্দোলনকারী চেনা যায়। আপনি কি আমাপ পরিচয় বলে দিতে পারবেন আমার পোশাক দেখে।’ রেল অবরোধ ইস্যুতে এদিনও রেলের সম্পত্তি নষ্ট না করতে বিক্ষোভকারীদের আবেদন করলেও রেলের নিরাপত্তার দায়িত্ব রেলকেই নিতে হবে বলে মনে করিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন তিনি আরও বলেন, ‘জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ছোট ছোট বাচ্চা ছেলেমেয়েদের নৃশংসভাবে পিটিয়েছে ওরা।’ সিএএ–র প্রতিবাদে জেএমআইইউ এবং এএমইউ–তে রবিবারের ছাত্রবিক্ষোভে পুলিসি তাণ্ডবের তীব্র নিন্দা করে মুখ্যমন্ত্রী।