গড়িয়াহাটে বৃদ্ধা খুনে চাঞ্চল্যকর মোড়। ধৃত বউমা ও নাতনিকে জেরা করে তদন্তকারীরা জেনেছেন, খুনের ঘটনায় ধৃত বৃদ্ধার বউমা ডিম্পলের প্রেমিক সৌরভ পুরীর সঙ্গে ঘনিষ্ট সম্পর্ক ছিল নাতনি গুড়িয়ার সঙ্গেও। এমনকি মা ডিম্পলের সঙ্গে লিভ-ইন সম্পর্ক চলাকালীনই মেয়ে গুড়িয়ার সঙ্গেও সেক্স চ্যাট করত সৌরভ। পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, বৃদ্ধা উর্মিলা ঝুন্ডের ছোট বউমা ডিম্পলের মোবাইল ফোনে ‘হার্টবিট’ নামে সেভ করা ছিল সৌরভের নম্বর। আর সেটাই পুলিশকে সাহায্য করে তদন্ত গুটিয়ে আনতে। খুনের ২৪ ঘন্টার মধ্যেই কিনারা করে ফেলে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ফেসবুক মারফৎ প্রথমে গুড়িয়ার সঙ্গে আলাপ হয় সৌরভের। এরপর ধীরে ধীরে তাঁর মা ডিম্পলের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠতা বাড়ায় সে। পাঞ্জাবের বাসিন্দা সৌরভ প্রায়শই কলকাতায় এসে রিচি রোডে ডিম্পলের ফ্ল্যাটেই থাকতো বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। সেখানেই দিন পনেরো আগে তৈরি হয় খুনের প্ল্যান। সেই মতো বৃহস্পতিবার খুনের সময় সৌরভ কলকাতায় থাকলেও পুলিশকে বিব্রত করতে দিল্লি বিমানবন্দরে একটি ছবি পোস্ট করে সে। কিন্তু পুলিশ তাঁর মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করেই ধরে ফেলে চালাকি। গ্রেফতার করা হয় খুন হওয়া বৃদ্ধার বউমা ডিম্পল ও অষ্টাদশী নাতনি গুড়িয়াকে। পুলিশ প্রথম থেকেই নিশ্চিন্ত ছিল শুধুমাত্র লুটপাটের উদ্দেশ্যেই এই খুন না। এর পিছনে পারিবারিক কোনও বিবাদ রয়েছে। কারণ বৃদ্ধা উর্মিলাদেবী খুনের জন্য বাঁধা দেননি অথবা চিৎকার চেঁচেমেচিও করেননি। এরপরই পুত্রবধূ ডিম্পলের মোবাইলে পুলিশ পায় রহস্যজনক ‘হার্টবিট’ বলে সেভ করা একটি নম্বর। এই ব্যাপারে ডিম্পলকে জেরা করে ও ওই নম্বর ট্র্যাক করেই সৌরভ পুরীর নাম উঠে আসে। পরে পাঞ্জাব থেকে গ্রেফতার করা হয় সৌরভকেও। আর তাঁকে জেরা করেই তদন্তকারীদের চোখ কপালে ওঠে। মা ডিম্পল ও অষ্টাদশী মেয়ে গুড়িয়ার সঙ্গে একই সাথে ‘ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক’ ছিল প্রেমিক সৌরভের।