শুধু বাংলা নয়, বাংলাদেশও ‘বুলবুলে’র প্রকোপে মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে। এবার ‘বুলুবুলে’র আতঙ্কে কাঁপছে বাংলাদেশ। এর আগে ‘ফণী’র শক্তি ‘বুলুবলে’র থেকে অনেক বেশি ছিল, তা সত্ত্বেও বাংলাদেশ এতটা উদ্বিগ্ন হয়নি, যতটা হয়েছে এবার। আসলে ‘বুলবুলে’র গতিপ্রকৃতিই এবার ভাবাচ্ছে বাংলাদেশকে। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে দেশের কয়েকটি বিমানবন্দর বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক, কক্সবাজার, বরিশাল ও যশোর বিমানবন্দর বন্ধ রয়েছে। শনিবার বিকাল ৪টা থেকে রবিবার ভোর ৬টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। এছাড়া দেশের অভ্যন্তরীণ বেশ কিছু রুটে কয়েকটি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। শনিবার রাত ৮টা থেকে অথবা মধ্যরাতে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে আঘাত হানতে যাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। স্বাভাবিকের চেয়ে ৫ থেকে ৭ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। এ জন্য সমুদ্রবন্দরগুলোতে মহাবিপদ সঙ্কেত জারি করা
হয়েছে। ‘বুলবুলে’র জেরে চট্টগ্রাম থেকে খুলনা, ১৩টি জেলায় প্রবল প্রাকৃতিক দুর্যোগ চলছে। বাংলাদেশের আবহাওয়া দফতর সতর্কতা জারির পর নৌ পরিবহণমন্ত্রক ‘মহাবিপদে’র সংকেত দিয়েছে। নদী ও সমুদ্র বন্দরগুলিতে ১১ নম্বর সংকেত অর্থাৎ মহাবিপদ সংকেত দেখানো হয়েছে। আর পার্শ্ববর্তী ৯টি জেলা জারি করা হয়েছে ১০ নম্বর বিপদসংকেত। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে নদী ও সমুদ্রবন্দরগুলোতে ১ থেকে ১১ পর্যন্ত সতর্ক সংকেত দেখানো হয়। যদিও আবহাওয়া বিভাগ উপকূলীয় এলাকাগুলোর জন্যও সতর্কতা হিসেবে একই সংকেত ব্যবহার করে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ প্রথমে আছড়ে পড়বে সুন্দরবনে। তারপর তা গতি হারিয়ে চট্টগ্রামের দিকে ধেয়ে যাবে। এপার বাংলা ও ওপার বাংলার সুন্দরবনেই এই ঘূর্ণিঝড় ধাক্কা খাবে। ফলে শক্তি হারাবে ঠিকই। কিন্তু স্থলভাবে দীর্ঘসময় অবস্থান করবে।