দেশ

জল্পনা বাড়িয়ে দু’মাসের জন্য অযোধ্যায় জারি ১৪৪ ধারা

লখনউ: কাশ্মীর থেকে সংবিধানের বিশেষ অর্যাদা দেওয়া ৩৭০ এবং ৩৫এ ধারার অবলুপ্তি ঘটেছে মাস দুই হল। এরই মাঝে বড় সিদ্ধান্ত নিল অযোধ্যা প্রশাসন। অযোধ্যায় আগামী দুই মাসের জন্য জারি থাকবে ১৪৪ ধারা।সবে নবরাত্রী শেষ হয়েছে। এখনও উৎসবের মরসুমের বড় অংশ বাকি রয়েছে। দীপাবলি আসছে। আর মাত্র সপ্তাহ দুই বাকি। সেই সময়ে উত্তর ভারতের বড় অংশে সাড়ম্বরের সঙ্গে উৎসব উদযাপন করা হয়।সেই উৎসবের মরসুমে যাতে কোনও জটিলতা না হয় সেই কারণেই ১৪৪ ধারা জারির মতো কড়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। এমনই জানিয়েছেন অযোধ্যায় জেলা শাসক অনুজ কুমার ঝা। তাঁর কথায়, “অনেক উৎসব এখনও বাকি রয়েছে। সেই সময়ে যাতে আইন-শৃঙ্খলার কোনও বিপত্তি না ঘটে সেই কারণেই ১৪৪ ধারা জারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” আগামী ডিসেম্বর মাসের ১০ তারিখ পর্যন্ত অযোধ্যায় জারি থাকবে ১৪৪ ধারা।ঘটনার সূত্রপাত, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের দীপাবলি উদযাপনের পরিকল্পনা থেকে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পক্ষ থেকে অযোধ্যার বিতর্কিত এলাকায় দীপাবলির রাতে প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের পরিকল্পনা করে। সেই উপায়েই দীপাবলি পালন করার কথা ঘোষণা করে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ।মুসলিমদের পক্ষ থেকে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের পালটা জবাব দেন হাজি মহম্মদ। তিনি অযোধ্যার একজন মামলাকারী। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, “বিশ্ব হিন্দু পরিষদ দীপাবলি পালন করলে আমাদেরকেও নমাজ পড়ার অনুমতি দিতে হবে।”অযোধ্যা বিতর্ক দীর্ঘদিন ধরেই চলছে। বিষয়টি এই মুহূর্তে সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। আগামী মাসের ১৭ তারিখে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের পক্ষ থেকে রায় ঘোষণা করার কথা। রবিবার অযোধ্যা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সেই অনুসারে সুপ্রিম কোর্টের রায় ঘোষণার পরেও তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে অযোধ্যায় জারি থাকবে ১৪৪ ধারা।আর এখান থেকেই শুরু হয়েছে জল্পনা। কারণ কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা অবলুপ্তি হয় অগস্ট মাসের পাঁচ তারিখে। তার আগে থেকেই শুরু হয়ে যায় প্রস্তুতি। মোতায়েন করা হয় বিপুল সেনা। অযোধ্যা নিয়েও কী তেমন কিছু পরিকল্পনা করেছে কেন্দ্র? সেই কারণেই কী আগাম সতর্কতা নিতেই দীর্ঘ দিন ধরে জারি করে রাখা হল ১৪৪ ধারা?এই ধরণের নানাবিধ প্রশ্ন ঘুরছে জাতীয় রাজনীতির অন্দরে। এরই মাঝে আরও একটি তত্ত্ব বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে। আর সেটি হল রাজস্থানের পালি কেন্দ্রের বিধায়ক জ্ঞানচাঁদ পারেখের বিতর্কিত বক্তব্য। চলতি মাসের শুরুর দিকে তিনি বলেছিলেন, “অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ হবেই। এবং তা খুব শিঘ্রই হবে।” কিন্তু বিষয়টা তো আদালতে বিচারাধীন। এরপরেই তিনি বলেন, “আগামী ১৭ নভেম্বরের আগেই অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু হয়ে যাবে।”