মেদিনীপুর: পুজোর অন্যতম উপকরণই হল ফুল। কিন্তু প্রকৃতির খামখেয়ালিপনায় সেই ফুলের দাম এখন আকাশছোঁয়া। বর্ষার শুরুতেই রাজ্যে সৃষ্টি হয়েছিল খরা পরিস্থিতি। একে তো সূর্যের প্রখর তাপ তার ওপর কয়েকদিন ধরে একনাগাড়ে বৃষ্টি। আর তাতেই ফুল চাষে ঘটছে বিঘ্ন। তার জেরে কখনও মাঠের ফুল মাঠেই শুকিয়ে যাচ্ছে। আবার কখনও বৃষ্টির জলে মাঠেই পচছে ফুল। চাহিদা অনুযায়ী মিলছে না ফুল।ফলস্বরূপ,পুজোর অন্যতম উপকরণ ফুলের দাম বর্তমানে আকাশ ছোঁয়া। বাজারদর এই রকম। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাট, দেউলিয়া ফুলবাজারে শনিবার মহাসপ্তমীর দিনে রজনীগন্ধা বিক্রি হয়েছে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা কেজি দরে। পদ্ম প্রতি পিসের দাম ছিল ১৫ থেকে ২০ টাকা। লাল গাঁদা ফুলের দাম কেজি প্রতি ৫০ টাকা। হলুদ গাঁদা ফুল ৭০ টাকা। জুঁই ফুল কেজি প্রতি ১২০০ টাকা। দোপাটি ৮০ টাকা। অপরাজিতা ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। চাহিদার তুলনায় ফুলের জোগান কম থাকায় বাজারে চড়া দামে ফুল বিক্রি হয়েছে বলে জানান ফুলচাষীরা।সারা বাংলা ফুলচাষী ও ফুল ব্যবসায়ি সমিতির সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র নায়ক বলেন, দূর্গা পুজোর অষ্টমীর দিন ১০৮ টি করে পদ্ম ফুল প্রয়োজন হয়। পদ্মের চাষ হয় মুলতঃ পূর্ব মেদিনীপুর,হাওড়া,বীরভূম, বর্ধমান জেলায়। রেল ও ন্যাশনাল হাইওয়ের ধারে নয়ানজুলিতে পদ্ম চাষ হয়। প্রকৃতির খামখেয়ালীপনায় সেই পদ্মের চাষও ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেই কারণে এবার পদ্মের দাম অত্যাধিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।অন্যদিকে গত কয়েকদিন আগে ঘূর্ণাবর্তের কারণে যে বৃষ্টিপাত হয়েছে, সেই কারণে ঝরা ফুলও নষ্ট হয়েছে প্রচুর পরিমাণে। তাই ফুলের দামও বেশ বেশি। ফুলের দাম বেশি হলেও উৎপাদন কম থাকায় চাষিরা প্রচুর পরিমাণে চাষ করেও খুব একটা লাভবান হতে পারেনি বলে জানান তিনি।