কলকাতা

পরিসংখ্যানে স্বচ্ছতার রাখার বার্তা দিয়ে মুখ্যসচিবকে চিঠি কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের

কলকাতাঃ রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহাকে চিঠি দেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের প্রধান অপূর্ব চন্দ্র । জানান, রাজ্যের তরফে তাঁদের প্রতি বিরোধী মনোভাব প্রকাশ করা হয়েছে । চিঠিতে তিনি লেখেন, “রাজ্যে আসার পর ২৩ এপ্রিল একটি ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যেমে প্রধান সচিবের(স্বাস্থ্য) সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়েছে । পাশাপাশি স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে আংশিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে । রাজ্য সরকারের আর কোনও দপ্তরের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি । সংক্ষেপে বলা যেতে পারে যে, রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় দলের প্রতি বিরোধী দৃষ্টিভঙ্গির আশ্রয় নেয় । একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের কাজে কোনও সহযোগিতাও করেনি । অথচ অন্যান্য রাজ্যে পরিদর্শনে যাওয়া কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল সেখানকার সরকারের উচ্চ পদাধিকারী থেকে শুরু করে তৃণমূল স্তরের আধিকারিকদের সঙ্গেও বৈঠক করেছে । ” কোরোনায় মৃতের সংখ্যার ক্ষেত্রে রাজ্যের স্বচ্ছতা নিয়েও চিঠিতে প্রশ্ন তোলেন অপূর্ব চন্দ্র । তিনি লেখেন, “৩০ এপ্রিল রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয় যে, এখন থেকে পশ্চিমবঙ্গে কোরোনায় মৃতের সংখ্যা দৈনিক পরিসংখ্যানে বলা হবে । পাশাপাশি বলা হয়, কারও মৃত্যু হলে তাঁর নমুনার দ্রুত পরীক্ষা করে চিকিৎসকদের কমিটি ডেথ সার্টিফিকেট দেবে । কোরোনা সংক্রান্ত তথ্যের বিষয়ে স্বচ্ছতার ক্ষেত্রে এটা একটা বড় পদক্ষেপ । “কোরোনা নিয়ে রাজ্যের দিকে আঙুল তুলে চিঠিতে জানানো হয়, “৩০ এপ্রিল স্বীকার করা হয়েছে ৭২ জন কোরোনা আক্রান্ত রোগীর রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে । অথচ তাঁদের মৃত্যুর কারণ হিসেবে অন্যান্য শারীরিক অসুস্থতাকে উল্লেখ করা হয়েছে । ১ মে ও ২ মে-এর মেডিকেল বুলেটিনে তো রাজ্যের মোট আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যারই উল্লেখ করা হয়নি । কোরোনায় মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যার ক্ষেত্রে রাজ্যের স্বচ্ছ ও ধারাবাহিক হওয়া উচিত । ” কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের প্রধান চিঠিতে জানান, “রাজ্যের তরফে দাবি করা হয়েছে, কনটেনমেন্ট জ়োনগুলিতে প্রতিদিন প্রত্যেকের উপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে । কিন্তু তার কোনও তথ্য বা নথি নেই । রাজ্যে থাকাকালীন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলই চার জেলায় 50 লাখের বেশি মানুষের সমীক্ষা করেছে ।”