বসিরহাট: মাত্র ১০ মিনিটের ঝড়-বৃষ্টি। আর তাতেই লন্ডভন্ড হয়ে গেল বসিরহাটের ইটিন্ডা, টাকির মতো একাধিক এলাকা। বৃষ্টির জলে ধুয়ে গেল পুজোর আনন্দ। মাথায় হাত পড়ল স্থানীয় ব্যবসায়ীদের। সাজগোজাই সার হল সকলের। ঠকুর দেখতে যাবে কী, প্যান্ডেলই তো ঝড়ে উড়ে গিয়েছে।রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটা। আকাশ অন্ধকার। তারপরই সাঁ সাঁ করে শব্দ। গাছগাছালির মাথা যেন নুয়ে পড়ছে। ক্রমশই বাড়ল ঝড়ের বেগ। একের পর এক উপড়ে পড়ল গাছ। ভেঙে পড়ল প্যান্ডেল। পুজো উপলক্ষে বানানো তোরণগুলি উড়ে এসে পড়ল রাস্তায়। চোখ ধাঁধিয়ে যায় বিদ্যুতের ঝলকানিতে। সঙ্গে প্রবল বাজের শব্দ। মানুষ ছুটে নিরাপদ আশ্রয়ে পৌঁছনোর আগেই নামল প্রবল বৃষ্টি। চলে গেল বিদ্যুৎ। গোটা এলাকা ডুবে গেল নিকষকালো অন্ধকারে। মাত্র ১০ মিনিটের ঝড়-বৃষ্টিতেই লন্ডভন্ড হয়ে গেল বসিরহাটের একাধিক এলাকা। সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত হয়ে পড়ল বসিরহাটের জনজীবন। আপাতত বসিরহাট থেকে প্রাণহানির কোনও খবর না মিললেও এদিনের ঝড়বৃষ্টিতে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।তবে শুধু বসিরহাট নয়, এদিন সন্ধ্যায় কলকাতা ও কৃষ্ণনগরেও ভালরকম ঝড়বৃষ্টি হয়েছে। কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। কৃষ্ণনগরে বাজ পড়ে এক বিএসএফ জওয়ানের মৃত্যুর খবর মিলেছে। মৃতের নাম আশিস কুমার ঘোষ (৫৪)। তিনি সীমান্তে টহলদারির কাজ সামলাচ্ছিলেন। অন্যদিকে কলকাতায় জল জমে সমস্যা বাড়ে। শুরু হয় ট্রাফিক জ্যাম। পুজো দেখতে বেরিয়ে অনেকেই প্রবল সমস্যায় পড়েন।