জেলা

বনগাঁয় পুলিশের গাড়ি থেকে পালাল আসামী

বনগাঁ: আদালত থেকে সংশোধনাগারে ঢোকানোর সময় পুলিশের গাড়ি থেকে পালিয়ে গেল ডাকাতিতে অভিযুক্ত আসামী। বনগাঁ আদালতের ঘটনা।এই ঘটনার দীর্ঘক্ষণ পর অভিযুক্তকে আদালত চত্ত্বর থেকে পাঁচশ মিটার দুরে একটি বটবৃক্ষের খুপড়ি থেকে ধরতে সমর্থ হয় পুলিশ। আসামী পালানোর ঘটনা ছড়িয়ে পড়তেই চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা এলাকায়।অভিযুক্ত আসামীর নাম মহিবুল মন্ডল ওরফে লালু। প্রসঙ্গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বাগদা থানার পুলিশ ভারত বাংলাদেশ সীমান্তের একটি ইটভাঁটার গোপন ডেরা থেকে মহিবুল মন্ডল, অমল মুখার্জী ও গোলাম মন্ডল নামে তিন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে। ধৃতদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র, তাজা কার্তুজ, ভোজালী, লোহার রড ও ডাকাতির সরঞ্জাম উদ্ধার হয়।নিয়ম মতো ওই তিন দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে ডাকাতি ও অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করে শুক্রবার তাদের বনগাঁ আদালতে তুলে দেয় পুলিশ। আইনের ধারা মোতাবেক আদালতে হাজির করা হলে বিচারক ওই তিন অভিযুক্তকে বিচারাধীনবন্দি হিসাবে সংশোধনাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ পর্যন্ত সবই চলছিল ঠিকঠাক।কিন্তু বিচারকের নির্দেশ মতো ওই তিন অভিযুক্তকে আদালতের লকআপ থেকে সংশোধনাগারে নিয়ে যাওয়ার সময় ঘটল বিপত্তি। আদালত থেকে মাত্র একশো মিটার দূরে ওই তিন অভিযুক্তকে সংশোধনাগারে ঢোকানোর সময় পুলিশের গাড়ির দরজা খুলে পালিয়ে যায় মহিবুল।পলাতক ওই আসামীকে ধরতে আদালতের কয়েকশো মিটার দূর পর্যন্ত ছোটাছুটি শুরু করে দেন কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীরা। শেষ পর্যন্ত স্থানীয় একটি পুকুর পাড় সংলগ্ন বট বৃক্ষের কোঠর থেকে গা ঢাকা দেওয়া মহিবুলকে ধরতে পারে পুলিশ কর্মীরা। বহুকষ্টে পলাতক আসামীকে খুঁজে পেয়ে অবশেষে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে আদালতের কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীরা।পুলিশ হেফাজত থেকে বিচারাধীন বন্দি পালানোর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ানোর পাশাপাশি নিরাপত্তা বিষয়ে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন এলাকার মানুষ। এ বিষয়ে বনগাঁ পুলিশ জেলার দায়ীত্বে থাকা পুলিশ সুপার তরুন হালদারকে বারকয়েক ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করার প্রয়োজন মনে করেননি।